বীরভূম: ১৯ ঘণ্টা পার। হস্টেল খোলা-সহ তিন দফা দাবিতে বিশ্বভারতীর (viswa bharati) সেন্ট্রাল অফিসে নিজের দফতরে ঘেরাও রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ। বিক্ষোভকারীদের দেওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, আজ ভোরের দিকে হামাগুড়ি দিয়ে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন রেজিস্ট্রার। শুয়ে পড়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়েন পড়ুয়ারা। রেজিস্ট্রারের দাবি, ধর্মীয় রীতি পালনে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাঁকে আটকানো হয়। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের দাবি, রেজিস্ট্রার নিজেই নাটক করে উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। হস্টেল খোলা সহ তিন দফা দাবিতে গতকাল বেলা ১২টা থেকে বিশ্বভারতীতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ শুরু হয়। বন্ধ সব বিভাগের পঠনপাঠন। 


গতকালই, হস্টেল খোলা-সহ তিন দফা দাবিতে ফের ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল বিশ্বভারতী। মিছিল করেন পড়ুয়ারা। পাঠভবন চত্বরে গেট টপকে তাঁরা ভিতরে ঢুকলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। সেই সময় পাঠভবনে যে সব ক্লাস চলছিল, তা বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা।  তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কিছু দফতরে।  


সেখান থেকে এরপর পড়ুয়ারা মিছিল করে সঙ্গীত ভবনে আসেন। সেখানেও গেট টপকে তাঁরা ভিতরে ঢুকে পড়েন। যাঁর ক্লাস করছিলেন, তাঁদের বের করে দেওয়া হয়। এর পর শিক্ষাভবনে এসে একের পর এক দফতরে তালা লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। রেজিস্ট্রারের অফিসে ঢুকে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। ৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘেরাও রেজিস্ট্রার। উল্লেখ্য, দীর্ঘক্ষন বিক্ষোভের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক ছাত্রী। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীর হাসপাতলে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্য়েই বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন। 


স্কুল-কলেজ চালু হয়ে গিয়েছে সর্বত্র। শিথিল হয়ে গিয়েছে কোভিড বিধিও (COVID Restrictions)। অথচ বিশ্বভারতীর হস্টেল বন্ধ এখনও। তা নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভে ফের উত্তাল বিশ্বভারতী (Visva Vharati)। সকাল থেকে দফায় দফায় বিক্ষোভ চলছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। অবিলম্বে হস্টেল (Demand of reopening Hostel) খুলে দিতে হবে বলে দাবি জানাচ্ছেন পড়ুয়ারা।