নান্টু পাল, বীরভূম: রামপুরহাটে (Rampurhat) কৃষাণ মান্ডি সংলগ্ন এলাকা থেকে উদ্ধার ৩ টি তাজা বোমা উদ্ধার করল রামপুরহাট (rampurhat) থানার পুলিশ। আজ সকালে রামপুরহাট পৌর সভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষাণ মান্ডি পাঁচিল সংলগ্ন ফাঁকা জাগায় থেকে তিনটি বোমা দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর রামপুরহাট থানার পুলিশ খবর পেয়ে ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে। পুলিশ জানিয়েছেন, ওই গুলো বোমা না অন্য কিছু তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বোম স্কোয়ার্ড কে খবর দেওয়া হয়েছে।
এর আগেও বীরভূমের বিভন্ন এলাকা থেকে বোমা উদ্ধার করেছিল। কিছুদিন আগেই মধ্যমগ্রামে তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছিল। মধ্যমগ্রামে মদনপুরে গেঞ্জি কারখানায় চুরির চেষ্টা। যদিও চুরি করতে আসা সেই চোরদের ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। এরপরই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অভিযুক্তদের জেরা করে পাশেই একটি গোডাউন থেকে দুটো তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। এরপরই মধ্যমগ্রাম থানায় পুলিশকে এই বিষয় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে অভিযুক্তদের সঙ্গে সেই বোমা দুটো উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এরপর আরও ২ দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। এরপর তারা অভিযুক্তদের ধরে গাছে বেঁধে মারধর করা হয়। এই ঘটনায় এলাকায় বিপুল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরে অবশ্য পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খেজুরি বিস্ফোরণ নিয়ে এএনআইয়ের দাবি
তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশেই বোমা বাঁধছিলেন রতন, খেজুরি বিস্ফোরণ নিয়ে বিশেষ আদালতে দাবি এনআইএ-র। রতন প্রামানিককে উড়িষ্যা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আজই কলকাতা নিয়ে আসা হয়েছে তাকে। এবং এনআইএ স্পেশাল কোর্টে তার হেফাজতের আর্জি জানিয়েছে তদন্তকারী দল। এর আগে,
পুরভোটের আগে মানুষকে ভয় দেখাতে, খেজুরিতে (Khejuri) মজুত করা হয়েছিল বোমা। তেসরা জানুয়ারির বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিল NIA। এরপরই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) দাবি করেছেন, যাঁদের নির্দেশে বোমা মজুত হচ্ছিল, তাঁদেরও গ্রেফতার করতে হবে। এনিয়ে তৃণমূলের পাল্টা কটাক্ষ, বিজেপি কোথাও প্রত্যাখ্যাত হলেই তৃণমূলের নাম জুড়ে দিচ্ছে।