ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও এরশাদ আলম, বীরভূম: অনুপস্থিত বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) আইনজীবী। অমর্ত্য সেনের আইনজীবীর প্রশ্ন, হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হওয়ার পর নিম্ন আদালত এই মামলার শুনতে পারে কি? সব মিলিয়ে সিউড়ি জেলা আদালতে পিছিয়ে গল অর্মত্য সেনের জমি-মামলার শুনানি। পরবর্তী শুনানি ৩০ মে।
জেলার (Birbhum District) তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪১ ডিগ্রির ঘর। তীব্র গরমে নাজেহাল বীরভূম (Birbhum) জেলার মানুষ। এই পরিস্থিতিতে এদিন সকালে বসে সিউড়ি জেলা আদালত (Suri Zila Court)। কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর আইনজীবী। অন্যদিকে, অর্মত্য সেনের আইনজীবী জানান, এই ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। ফলে নিম্ন আদালত এই মামলা শুনতে পারে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
পিছিয়ে গেলজমি-মামলার শুনানির: সব দিন বিবেচনা করে আদালত পিছিয়ে দেয় অমর্ত্য সেনের জমি-মামলার শুনানির দিন। কিন্তু কেন অনুপস্থিত বিশ্বভারতীর আইনজীবী? সূত্রের খবর, কলকাতা থেকে আসার কথা তাঁর। তাই এ দিন তিনি সময় মতো আদালতে হাজির হতে পারেননি। সম্প্রতি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে তাঁর শান্তিনিকেতনের বাড়ি প্রতীচীর ১৩ ডেসিমল জমি খালি করার নির্দেশ দেয় বিশ্বভারতী।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমি খালি না করলে, তাঁকে উচ্ছেদ করা হবে জানিয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে নোটিসও দেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অমর্ত্য সেন। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় বিদ্বজ্জনেদের একাংশ। বিশ্বভারতীর ভূমিকার প্রতিবাদে দেওয়া হয় সাংস্কৃতিক প্রতিবাদের ডাক।
এলাকায় মিছিল ও মানব বন্ধন করে সামাজিক মর্যাদা রক্ষা কমিটি। অবস্থান বিক্ষোভ করে বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটি। আগামী ৩০ মে দুপুর ২টোয় পরবর্তী শুনানির দিনক্ষণ ধার্য হয়েছে।
এবিষয়ে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনো যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি।
বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটির অবস্থান-বিক্ষোভ: উল্লেখ্য, নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে বিশ্বভারতীর উচ্ছেদ নোটিস দেওয়ার প্রতিবাদে বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটির অবস্থান-বিক্ষোভ সোমবার তৃতীয় দিনে পড়ে। এ দিন অবস্থান বিক্ষোভ মঞ্চে যান রাজ্য়ের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা এবং সিউড়ির তৃণমূল বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। মঙ্গলবার রবীন্দ্র জয়ন্তী পালনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি। এ দিনও মঞ্চে চলে বাউল গান পরিবেশন করা হয়। এ দিন উপস্থিত হয়েছিলেন তৃণমূলের শিক্ষক ও শিক্ষা সংগঠনের সদস্যরা। যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।