বীরভূম: বীরভূমে (Birbhum news) রাহুল গাঁধীর ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রার (Rahul Gandhi Bharat Jodo Nyay Yatra) অনুমতি দিল না পুলিশ। বাংলায় ফের রাহুল গাঁধীর যাত্রায় 'বাধা।' ওয়েনাড়ের সাংসদের র্যালিতে শুক্রবার অনুমতি নয়, জানিয়ে দিল পুলিশ। বীরভূমের পুলিশ সুপারের বক্তব্য, 'আগামীকাল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। তাই রাহুলের র্যালিতে অনুমতি নয়।' শিলিগুড়ি, মালদার পর এবার বীরভূমেও 'বাধা' রাহুলের ন্যায় যাত্রায়। তবে প্রশাসন অনুমতি না দিলেও, যাত্রা ঢুকবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস।
যা জানা গেল...
জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুলিশকে র্যালির জন্য লিখিত আবেদন করো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের তরফ থেকে লিখিত ভাবে জেলা কংগ্রেস সভাপতিকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বীরভূমে শুক্রবার র্যালির কোনও অনুমতি দেওয়া হবে না। মাধ্য়মিক পরীক্ষা শুরুর কথা মাথায় রেখেই অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টর জেলায় রাহুলের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'-কে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, ব্যাখ্যা পুলিশ প্রশাসনের। যদিও বীরভূম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি, মিলটন রশিদ বলেন, 'আমাদের এটা সেরকম কোনও ব্য়াপার নয়। কারণ সাড়ে ৯টায় ঢুকে যাচ্ছে মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থীরা। তারপর আমাদের প্রোগ্রাম শুরু। প্রোগ্রামে আমরা মাইক বাজাচ্ছি না। ... আজও তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখছিলাম কোথায় মিছিল করছিলেন... সবই চলছে।'
এর আগে, গত মাসের শেষাশেষি, শিলিগুড়িতেও রাহুল গাঁধীর সভায় অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এই নিয়ে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। 'অসমের মতো এখানকার প্রশাসনও অসহযোগিতা করছে', মন্তব্য করেন তিনি। এর দিনদুয়েক পর, সরকারি গেস্ট হাউসে রাহুল গাঁধীকে মধ্যাহ্নভোজের অনুমতিতে 'না' বলে মালদা জেলা প্রশাসন। ৩১ জানুয়ারি বিহার থেকে ফের মালদা হয়ে বাংলায় ঢোকার কথা ছিল কংগ্রেসের ন্যায় যাত্রার। রতুয়া থানার ভালুকার সেচ দপ্তরের গেস্ট হাউসে মধ্যাহ্নভোজের অনুমতি চেয়েছিল জেলা কংগ্রেস। প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদনও করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা নাকচ করে দেওয়া হয়। মুর্শিদাবাদে বহরমপুর স্টেডিয়ামেও রাহুলের রাত্রিবাসের অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। এবার বীরভূমেও যাত্রার অনুমতি মিলল না।
রাজনৈতিক সমীকরণ?
লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত 'ইন্ডিয়া' জোটের ছবি ঘিরে ততই ধন্দ বাড়ছে। তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন বলেন, 'আমরা জোট চেয়েছিলাম। কংগ্রেস করেনি। সিপিএম কংগ্রেসের জোট হয়েছে। বিজেপিকে সাহায্য় করার জন্য়।' বৃহস্পতিবার, মুর্শিদাবাদে রাহুল গান্ধীর ন্য়ায় যাত্রায় হাতের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় কাস্তে হাতুড়ি তারার পতাকা। মহম্মদ সেলিম থেকে সুজন চক্রবর্তীর মতো সিপিএমের শীর্ষ নেতারা রাহুলের যাত্রায় অংশ নেন। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'বার্তা স্পষ্ট, মমতা ব্যানার্জি সিপিআইএমের কাঁধে বন্দুক রেখে কংগ্রেসকে গাল দিচ্ছে এবং বিজেপির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছে। যখন বেঙ্গালুরুতে বৈঠক হয়েছিল, তখনও আমাকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, তখনও আমরা আবার বলেছিলাম, ট্রেনে তো সবাই ওঠে, কিন্তু কে কোথায় নামবে তার গ্যারান্টি আমরা দিতে পারি না। মমতা এখন বলছেন যে গাড়িটা থামাও, আমরা নেমে যাব। আমরা বলছি স্বাগত।' এসবের মধ্যে বীরভূম জেলা প্রশাসনের নতুন সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন:জমি বিবাদে অমর্ত্যের দাবিতেই সিলমোহর আদালতের, বিশ্বভারতীর উচ্ছেদ নোটিস খারিজ