আবির ইসলাম এবং মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, বীরভূম: গরুপাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) এবার আরও তত্পর সিবিআই (CBI)। গতকাল হাজিরা এড়ানোর পর আজ সকালে বোলপুরের নীচুপট্টিতে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বাড়িতে গেল সিবিআই। ১০-১২টি গাড়ির কনভয় নিয়ে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এরপর বাড়িতে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন সিবিআই আধিকারিকরা। গরুপাচার মামলায় ১০ বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। মাত্র একবার হাজিরা দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়ান অনুব্রত।                                                


এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া


এদিকে এলাকায় এমন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আচমকা হানা এবং সিবিআই আধিকারিকদের চলে আসায় রীতিমতো উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন কী হয়েছে তা দেখতে। অনেকে ছবি তুলছেন। এক বাসিন্দা জানান, বাজার করতে বেড়িয়েছিলাম হঠাৎ দেখলাম ভিড়। সংবাদমাধ্যমও এসেছে তাই দাঁড়িয়ে গেলাম। আরেক বাসিন্দা বলেন, "দাদার জন্যই এসেছি এখানে। আমরা অনেক দিনের বাসিন্দা। দাদার জন্য আমাদের দুঃখ, কষ্ট হচ্ছে।" 


আরও পড়ুন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা                       


সিবিআই সূত্রে খবর 


সিবিআই সূত্রে বলা হয়েছে, গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। আজ ওই চিকিত্সকের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত প্রভাব খাটিয়ে চিকিত্সককে দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হয়। কার নির্দেশে ওই সরকারি চিকিত্সক বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাও জানতে চায় সিবিআই। খবর সূত্রের। 


তল্লাশি অভিযানকে ঘিরে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মূল ফটক থেকে বাড়ির সবকটি গেটে  রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। বর্তমানে তল্লাশি হচ্ছে পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদও করা হবে তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতাকে। দোতলায় রয়েছেন তিনি। সেখানে সিবিআই আধিকারিকরা গিয়ে কথা বলছেন বলে সূত্রের খবর।