আবীর ইসলাম, দুবরাজপুর: ‘বিজেপি-র বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা ও দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা-কে পাথর খাদানের টাকা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের গাড়িও উপহার দিয়েছেন সদ্য তৃণমূলে যাওয়া বিজেপির তৎকালীন জেলা সাধারণ সম্পাদক।’


‘দুবরাজপুর বিজেপি সমর্থক’ নামে করা এই ফেসবুক পোস্ট ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে বীরভূমে।


গত ২৪ ডিসেম্বর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন বিজেপি-র তৎকালীন জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভ্রাংশু চৌধুরী। বোলপুরে তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। দলবদলের বিরোধিতা করে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন কৃশানু সিনহা নামে এক বিজেপি কর্মী। এরপরেই দলত্যাগী নেতাকে মামা সম্বোধন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয় ‘দুবরাজপুর বিজেপি সমর্থক’ নামে। যেখানে একযোগে আক্রমণ করা হয়েছে ওই দলত্যাগী নেতা, বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা ও দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহাকে।


একের পর এক ফেসবুক পোস্ট সামনে আসতেই তোলপাড় শুরু হয়েছে জেলার রাজনীতিতে। তবে এ বিষয়ে বিশেষ কিছুই বলতে চাননি ধ্রুব সাহা। তাঁর বক্তব্য, ‘কে পোস্ট করেছে দেখছি, অভিযোগ করতেই পারে।’


তৃণমূলে যোগদানকারী প্রাক্তন বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু চৌধুরী বলেছেন, ‘জেলা সাধারণ সম্পাদকের পদের বিনিময়ের গাড়ি দেওয়ার কোনও বিষয় নেই। আমার একটা গাড়ি ধ্রুব সাহা আর একটা আমি ব্যবহার করতাম। একটা ওঁর কাছে আছে। আমি যেহেতু বিজেপি দলটা ছেড়ে চলে এসেছি। কোনও বিষয় নিয়ে জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা হয়নি, গাড়িটার বিষয় নিয়ে কথা বলব।’


বিতর্ক দেখা দিতেই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে দায় ঠেলাঠেলি। দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহার দাবি, ‘এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। দুবরাজপুর বিজেপি সমর্থকদের পেজ থেকে আমাদের বিরুদ্ধে বদনাম করার চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে আমরা আইনের দ্বারস্থ হব।’


পাল্টা বিজেপি-কে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এমনি করেই একটা দল ধ্বংস হয়ে যায়। যত না বিরোধীপক্ষের জন্য, তার চেয়ে বেশি নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য শেষ হয়ে যায়।’


সবমিলিয়ে ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সরগরম লাল মাটির জেলা।