নান্টু পাল, রামপুরহাট (বীরভূম): রাজ্য বিজেপির (BJP) অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যেই দলে ভাঙনও অব্যাহত রয়েছে। পুরসভা ভোটের আগে বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট (Rampurhat) শহরে বিজেপি দলের ভাঙন ধরল।এদিন বিজেপির যুব মোর্চার রামপুরহাট শহরের সহ সভাপতি নিত্য কালি মন্ডল বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করেন। তাঁর হাতে পতাকা তুলে দিলেন রামপুরহাট বিধানসভার বিধায়ক আশিষ বন্দোপাধ্যায়। দলীয় কার্যালয়ে যোগদানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্রাচার্য, রামপুরহাট শহরে তৃণমূলের সভাপতি সোমেন ভকত সহ নেতৃত্ববৃন্দ।
গত বছর বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিধানসভা ভোটে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়ে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল তারপর থেকে চলছে উল্টোস্রোত। বিভিন্ন জেলাতেই বিজেপি ও অন্যান্য বিরোধী দল ছেড়ে শাসক শিবিরে সামিল হওয়ার ঘটনা দেখা গিয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন প্রায় এক হাজার কর্মী।তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার তথা এলাকার বিধায়ক আশিষ বন্দোপাধ্যায়। ওই দিন রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর অঞ্চলে এই যোগদানের আয়োজন করা হয়।
এর পাশাপাশি, এক সপ্তাহের মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরেও বিজেপিতে ফের ভাঙন ধরেছে। দলের মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ শহরে থাকাকালীনই এবার অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ সভাপতি। গতকাল খড়গপুর শহরে দলের নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
বিজেপিত্যাগী নেতার দাবি, বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় ও সাংসদ দিলীপ ঘোষের মধ্যে তালমিল না থাকায়, নাগরিকরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই বিজেপি ত্যাগ, দাবি তৃণমূলে যোগদানকারী নেতার। দিলীপ ঘোষ খড়গপুর এলেই বিজেপি ফাঁকা হয়ে যাবে। নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করে লাভ নেই, এমনই কটাক্ষ তৃণমূল করেছে নেতৃত্বের। বিজেপি নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। এর আগে ১৯ জানুয়ারি, খড়গপুরে তৃণমূলে যোগ দেন বিজেপি যুব মোর্চার মণ্ডল সভাপতি-সহ বেশ কয়েকজন কর্মী, সমর্থক।