এরশাদ আলম, বীরভূম: ২০১৫ সালে পুরসভা ভোটের হিসাব জমা না দেওয়ায় বীরভূমের পাঁচটি পৌরসভার ৩৩৪ জন প্রার্থীকে শোকজ করলেন বীরভূমের জেলাশাসক। এই তালিকায় রয়েছে সব দলের প্রার্থীরা। আজ সেই শোকজের জবাব দিলেন বিজেপি ও নির্দল প্রার্থীদের একাংশ। 


প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে পুরসভা ভোট হয়। নিয়ম অনুযায়ী, প্রার্থীদের ভোটের খরচের হিসাব জমা দিতে হয় প্রশাসনের কাছে। কিন্তু পাঁচ পুরসভার ৩৩৪ জন প্রার্থী সেই হিসাব জমা দেননি। তাদের শোকজ করে তিন দিনের মধ্যে উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়। জেলাশাসকের নির্দেশ মেনে আজ ২০১৫ সালে রামপুরহাট পুরসভার ভোটে প্রার্থী হওয়া বিজেপি ও নির্দল মিলিয়ে মোট ২০ জন আজ তাদের শোকজের উত্তর দেন জেলা প্রশাসনের কাছে। এদিন দুবরাজপুরেরও দুজন তৎকালীন বিজেপি প্রার্থীও শোকজের জবাব দেন।


এদিকে, পুরভোটের মুখে বীরভূমের দুবরাজপুরে বিজেপিতে বড় ভাঙন। তৃণমূলে যোগ দিলেন দুবরাজপুর বিধানসভার পর্যবেক্ষক, মণ্ডল সভাপতি সহ তিন নেতা। বোলপুরের এক বিজেপি নেতাও পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন এদিন। তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তরজা। দুবরাজপুর ও বোলপুরের ৪ জন বিজেপি নেতা যোগ দিলেন তৃণমূলে। শুধু দুবরাজপুরেই পদ্মশিবির ছাড়লেন ৩ নেতা। বীরভূম জেলার ১১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে এবার শুধুমাত্র দুবরাজপুর আসনটিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। আর সেই গেরুয়া গড়েই পদ্মশিবিরে ভাঙন।                                           


অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতে, বোলপুরে তৃণমূলের জেলা সদর কার্যালয়ে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নেয় দুবরাজপুরের ৩ বিজেপি নেতা। এঁদের মধ্যে প্রভাত চট্টোপাধ্যায় দুবরাজপুর বিধানসভায় বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন। সাধন ধীবর ছিলেন বিজেপির দুবরাজপুর মণ্ডলের সভাপতি। আর মলয় ধীবর ছিলেন দুবরাজপুর বিজেপির আইটি সেলের ইনচার্জ। 


এছাড়াও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বোলপুরের বিজেপি নেতা অরূপ রায়, যিনি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর।