ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: প্রবল বর্ষণে (Heavy Rain) ইতিমধ্যেই রাজ্যের তিন জেলায় দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয়েছে (Death)। সেই তালিকায় রয়েছে খোদ বীরভূমও। সম্প্রতি সেতু পারাপার করতে গিয়ে যাত্রীবাহী ট্রাক্টরকেও জলে ভাসতে দেখা গিয়েছে। আর এবার বীরভূমেই ভারী বৃষ্টির জেরে ডুডে গিয়েছে শাল নদীর সেতু। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বীরভূমের পাড়ুই থেকে ইলামবাজার যাওয়া গোল্টে গ্রামের কাছে শাল নদীর সেতুটি ডুবে যায়। আর তাঁর মধ্যেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন এলাকার মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবছর একটু জল বাড়লেই সেতুটি ডুবে যায়। ফলে আমাদের যাতায়াতের চরম সমস্যা হয়। সেতুটি নিচু হওয়ার জন্য জল বাড়লেই এই সমস্যা দেখা দেয়।
প্রবল বর্ষণের (Heavy Rain) জেরে দেওয়াল ধসে জেলায় জেলায় মৃত্যু। এবার পুরুলিয়াতেও (Purulia) দেওয়াল ধসে ৩ বছরের শিশুকন্যার মৃত্যু, আহত ৪। আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির টাকা পেলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না, দাবি মৃত শিশুর পরিবারের। প্রবল বর্ষণের জেরে দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয় এক তিন বছরের শিশুকন্যার। আহত হন চার জন।আজ সকালে ঘটনাটি ঘটে কেন্দা থানার অন্তর্গত পানিপাথর অঞ্চলের দরডি গ্রামে। সেখানে মাটির দেওয়াল ভেঙে গুরুতর আহত হয় ২ শিশু। পরে তাদের মধ্যে মৃত্যু হয় তিন বছরের নিত্যা সহিসের।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গতকাল রাত্রি থেকে ক্রমাগত বৃষ্টির কারণে পাশের এক ব্যাক্তির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। এতে তাঁর ছেলে ও মেয়ে ছাড়া আরও তিন পরিবারের সদস্য আহত হন। তাদের চিকিৎসা চলছে পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে।
আরও পড়ুন, 'আমার মেয়েরও ডেঙ্গি হয়েছিল, বিক্ষোভ দেখায়নি..', BJP বিক্ষোভকে কটাক্ষ ফিরহাদের
ভারী বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়াতেও ফের দেওয়াল ধসে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বাঁকুড়ায় গতকাল বাঁকুড়ার বাঁকাদহ এলাকায় দেওয়াল ধসে তিন শিশুর মৃত্যু হয়। গতকাল রাতেও ছাতনায় দেওয়াল ধসে মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধার। মৃতার নাম পূরবী হাঁসদা। বাড়ি ছাতনা ব্লকের দক্ষিণ হাঁসাপাহাড়ি গ্রামে। স্থানীয় ঘোষেরগ্রাম পঞ্চায়েতের দাবি, আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা সত্বেও বাড়ি না পাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে গতকাল রাতে নিজের মাটির বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন পূরবী হাঁসদা। আচমকাই মাটির কাঁচা বাড়ির দেওয়ালের একাংশ তাঁর গায়ের উপর ধসে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।