গোপাল চট্টোপাধ্যায় ও এরশাদ আলম, দুবরাজপুর (বীরভূম) : সরকারিভাবে ধান কেনার জন্য নাম নথিভুক্তি করা নিয়ে বীরভূমের দুটি ব্লকে অশান্তি। দুবরাজপুরে বিশৃঙ্খলা। লাঠিচার্জ করে পুলিশ। আগে থেকে না জানিয়ে মল্লারপুরে, কর্মসূচি বাতিলের অভিযোগ কৃষকদের। খতিয়ে দেখার আশ্বাস জেলা শাসকের। 


দুবরাজপুরে সরকারকে ধান বিক্রির জন্য নাম নথিভুক্ত করতে দুবরাজপুরের কৃষি অধিকর্তার দফতরের বাইরে সকাল থেকেই লম্বা লাইন পড়ে। বেলা বাড়তেই যেখানে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। এক জনের ঘাড়ের উপর উঠে পড়েছেন আরেকজন। যে অবস্থায় করোনাকালে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। যার জেরে তৈরি হয় তুমুল বিশৃঙ্খলা। কিছুক্ষণের জন্য নাম নথিভুক্ত করার কাজও বন্ধ থাকে। দুবরাজপুরের ধান বিক্রয় কেন্দ্রের আধিকারিক তাহিরুল ইসলাম বলেছেন, 'যেহেতু ব্লকে বারোটি অঞ্চল-সহ পুরসভার কৃষকরা এসেছেন, তাই ভিড় হয়েছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে, সমস্যা হয়। লাঠিচার্জ করা হয়।' 


শুধু দুবরাজপুর নয়, ধান বিক্রিকে কেন্দ্র করে মাল্লারপুরেও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সকাল থেকেই এখানে ধান বিক্রয় কেন্দ্রের বাইরে লাইন দিয়েছিলেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি, দীর্ঘক্ষণ লাইনের দাঁড়ানোর পর জানানো হয়, কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।এরপরই ক্ষুব্ধ কৃষকরা মল্লারপুর থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। যা নিয়ে বীরভূমের জেলাশাসক জানিয়েছেন, কেন কর্মসূচি বাতিল করা হল, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। তদন্ত করা হবে। এদিকে, শুধু বীরভূমই নয় বেশ কয়েকটি জেলাতেই সরকারি ধান বিক্রয়কেন্দ্র থেকে অল্প বিশৃঙ্খলার খবর মিলেছে। তবে দুবরাজপুরের মতো কোথাও পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করতে হয়নি পুলিশকে। 


আরও পড়ুন- নানুরের বালিগুলি গ্রামে সিপিএম কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ


এদিকে, কাটোয়ায় তৃণমূল নেতা সুপারিশ করলেই সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করা যাবে। ধরতে হবে দলের পতাকা। এমনই অভিযোগ কৃষকদের। প্রতিবাদে আজ বর্ধমান-কাটোয়া রোড অবরোধ করেন তাঁরা। এনিয়ে তোপ দেগেছে বিজেপিও। যদিও শাসক দলের নেতৃত্ব সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।


আরও পড়ুন- জলাশয়ে পাশাপাশি ভাসছে মানুষের দেহ, মরা অজগর! তীব্র চাঞ্চল্য মহম্মদবাজারে