ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বীরভূম: ফের কয়লা পাচারের (Coal Smuggling) অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করল বীরভূম (Birbhum) জেলার সদাইপুর থানার পুলিশ। শনিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে সদাইপুর থানা এলাকার কামারডাঙাল থেকে ১০টি কয়লা বোঝাই মোটরবাইক আটক করেন পুলিশ আধিকারিকরা। তার পরই গ্রেফতার (arrest) করা হয় এক জনকে।
কী ঘটেছিল?
পুলিশের দাবি, প্রতিটি বাইকে ৪ কুইন্টাল করে মোট ৪০ কুইন্টাল কয়লা মজুত ছিল। পুলিশ দেখে চম্পট দেয় কয়লা পাচারকারীরা। তবে এক জন কয়লাপাচারকারীকে গ্রেফতার করে সদাইপুর থানার পুলিশ। ধৃতের নাম রাজউদ্দিন খান। আজ তাঁকে সিউড়ি আদালতের তোলার কথা।
কয়লা পাচার শোরগোল...
বীরভূমে কয়লা পাচারের অভিযোগ নতুন নয়। গত বছর অক্টোবরে কয়লা ‘পাচার’ ফের বেআইনি কয়লা পাচারচক্রের পর্দাফাঁস হয়েছিল। পাচারের আগে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ৪ হাজার ৪০০ কেজি কয়লা ও ৮টি মোটরবাইক আটক করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ৭ জন পাচারকারীকে। ঘটনার দিন সন্ধেয় নলহাটি থানার জয়পুর গ্রামের কাছে অভিযান চালিয়ে কয়লা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ঝাড়খণ্ড থেকে ওই কয়লা আনা হচ্ছিল বলে পুলিশ জানায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ঘটনার দিন সন্ধেয় জয়পুর গ্রামের কাছে অভিযান চালায় নলহাটি থানার পুলিশ। কয়লার বস্তা-সহ ধরা পড়ে একাধিক বাইক। পুলিশ সূত্রে দাবি, উদ্ধার হয় ৪ হাজার ৪০০ কেজি কয়লা। ৮টি বাইক আটক করা হয়। গ্রেফতার ৭ জন। পুলিশ সূত্রের দাবি, পাচারের জন্যই ঝাড়খণ্ড থেকে আনা হচ্ছিল বস্তা বস্তা কয়লা। কিন্তু, কোথায় তা পাচারের ছক ছিল তা খতিয়ে দেখছে নলহাটি থানার পুলিশ। এর পরের ঘটনা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। রাতের অন্ধকারে কয়লা পাচারের চেষ্টার অভিযোগে হাতেনাতে পাকড়াও করে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। ভুয়ো চালান কেটে ইসিএলের খনি থেকে কয়লা পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, ট্রাক চালক যে চালান দেখান তাতে মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তির নাম ছিল। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, এই কয়লা তাঁর নয় বলে পুলিশকে জানিয়ে দেন তিনি। সূত্রের খবর, তারপরই জেরায় ঝাড়খণ্ডে কয়লা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে স্বীকার করে ট্রাক চালক। তাঁকে গ্রেফতার করে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন:আজ আইপিএলে কখন, কোথায় দেখবেন গুজরাত বনাম কেকেআর মহারণ?