গোপাল চট্টোপাধ্যায় ও এরশাদ আলম, সিউড়ি: ভুয়ো সোনার কয়েন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল সিউড়ি থানার পুলিশ। 


গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে সিউড়ি থানার অন্তর্গত দমদমা থেকে চারটি কার্তুজসহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ ভুয়ো সোনার কয়েন উদ্ধার করল সিউড়ি থানার পুলিশ। এছাড়াও উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ অর্থ। 


জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার তিন বাসিন্দাকে সোনার কয়েন বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ।  তিনটি ঘটনাতেই অভিযুক্তরা বীরভূমের বাসিন্দা।  এবারও ভুয়ো সোনার কয়েন বিক্রির অভিযোগে বীরভূম থেকে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। 


পুলিশ সূত্রে খবর, পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির বাসিন্দা পরিমল মণ্ডলের সঙ্গে বীরভূমের কয়েকজন যুবক যোগাযোগ করে সোনার কয়েন বিক্রির প্রস্তাব দেন।  দিন কয়েক আগে ওই ব্যক্তি বীরভূমের সিউড়িতে গিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার কয়েন কিনে আনেন।  তিনি পরে পরীক্ষা করে দেখেন, সব কয়েন নকল।  


এরপরই সিউড়ি থানায় অভিযোগ জানান তিনি। সিউড়ি থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে দমদমা গ্রাম থেকে ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর নকল কয়েন, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৪টি কার্তুজ। 


পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, গত তিনদিন আগে ভুয়ো সোনার কয়েন কিনে প্রতারিত হন বর্ধমানের কুলটির বাসিন্দা পরিমল মণ্ডল। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে সিউড়ি থানার পুলিশ গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে চারজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে।  


শুধু এই একটি ঘটনাই নয়।  সাম্প্রতিককালে, ভুয়ো সোনার কয়েন বেচা চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। বেশ কয়েকটি জেলায় এই প্রতারণা চক্রের জাল ছড়িয়ে রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের। 


পুলিশ সূত্রে খবর, জুলাইতেই উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের বাসিন্দা এক মহিলাকে নকল সোনার কয়েন দিয়ে আড়াই লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্তরা বীরভূমের বাসিন্দা।  


আবার জুলাইতেই নদিয়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তিকে ৯৫টি নকল স্বর্ণমুদ্রা বিক্রি করে ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাতেও অভিযুক্তরা সেই বীরভূমেরই। এক্ষেত্রেও গ্রেফতার বীরভূমের সিউড়ির চার বাসিন্দা। 


এধরনের প্রতারণার হাত থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয় পুলিশের তরফে।