সৌভিক মজুমদার, বীরভূম: সাত দিন ধরে চলা বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা কাটাতে হস্তক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের। ৩ পড়ুয়াকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে, উপাচার্যের বাড়ির সামনে মঞ্চ বেঁধে অবস্থানে বসেন ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশ। সেই প্রেক্ষিতেই আজ কড়া নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।


বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০ মিটারের মধ্যে কোনওরকম বিক্ষোভ করা যাবে না। আজ দুপুর ৩টে থেকে প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসস্থান সহ যেখানে যত তালা ঝোলানো ছিল, সব তালা ভেঙে দিতে হবে শান্তিনিকেতন থানাকে। আজ বিশ্বভারতীকাণ্ডে অন্তর্বর্তী এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত সূত্রে খবর, হাইকোর্ট নির্দেশে বলেছে, বিশ্বভারতীর কোনও কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া যাবে না।


উপাচার্যের নিরাপত্তার জন্য ৩ জন পুলিশ কর্মীকে নিয়োগ করতে হবে। চালু করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের সমস্ত সিসি ক্যামেরা। কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে শান্তিনিকেতন থানাকে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে হাইকোর্ট। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় যাতে স্বাভাবিকভাবে চলে সেদিকে প্রশাসনকে কড়া নজর রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টের মন্তব্য, 'এটা ছাত্র ইউনিয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন নয়।’


উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীকাণ্ডে বোলপুরের SDPO-র ভূমিকা নিয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে অভিযোগ জানিয়েছেন উপাচার্যের মেয়ে। তিনি বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাটিকে এসএমএস-এ অভিযোগ করেন, গতকাল তাঁর বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর SDPO যে ভূমিকা নিয়েছেন, তা নিন্দনীয়। উপাচার্যের মেয়ের অভিযোগ, তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।  তাঁর ববার চিকিত্‍সার প্রয়োজন নেই, এ কথা তিনি বলেননি।  অথচ SDPO বাইরে তাই বলেছেন।  


অন্যদিকে, বিশ্বভারতীর অচলাবস্থা নিয়ে তৃণমূলকেই দুষলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী একদিকে বলছেন তিনি বিশ্বভারতীর জন্য গর্বিত, আর তাঁর দলের লোকেরা ওই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাহানি করার ব্যবস্থা করেছে। 


আরও পড়ুন: Chandana Bauri : বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ! বাঁকুড়া আদালতে আত্মসমপর্ণ করতে গিয়েও ফিরতে হল বিজেপি বিধায়ককে, কেন ?


আরও পড়ুন: Birbhum: অসুস্থ বিশ্বভারতীর উপাচার্য, চিকিৎসককে ঢুকতে বাধা বিক্ষোভকারীদের