আবির দত্ত, বীরভূম: বীরভূমের মহম্মদবাজারে জিলেটিন স্টিক উদ্ধারকাণ্ডের তদন্তে এবার সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে NIA।
সূত্রের খবর, ডিসেম্বরে তিহাড় জেলে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


বীরভূমে বিপুল পরিমাণে জিলেটিন স্টিক ও ডিটোনেটর কীভাবে মজুত হল? সায়গল হোসেনের কাছ থেকে জানতে চায় NIA। গতকালই রামপুরহাটের জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী মহম্মদবাজারের জিলেটিন উদ্ধারে একাধিক নাম পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন। ডিসেম্বরে সেই সব নাম প্রকাশ্যে আনবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। 


মুরারইয়ের পর প্রকাশ্যে এসেছিল রামপুরহাট।  বীরভূমে উদ্ধার হয়েছিল বিস্ফোরক।  নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলিয়া গ্রামের কাছে ট্র্যাক্টর ভর্তি জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়েছিল। ২৫ বস্তা জিলেটিন স্টিক ছাড়াও মিলেছিল ২ হাজার পিস ডিটোনেটর। ট্র্যাক্টর ও একটি মোটরবাইক আটক করেছিল পুলিশ। পুলিশের দাবি ছিল, বিস্ফোরকগুলি নলহাটির লক্ষ্মীনারায়ণপুর থেকে আনা হয়েছিল। রামপুরহাট এলাকায় প্রচুর পাথর খাদান রয়েছে। সেখানেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। যদিও বাইক ও ট্র্যাক্টর চালক পলাতক। এর আগে মুরারইতেও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছিল।


বছরটা ছিল ২০২১। জিলেটিন স্টিক বিস্ফোরণ হয়েছিল অন্ধ্রপ্রদেশে। ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল ৯ জনের দেহ। আহত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। পুলিশ জানিয়েছিল, অন্ধ্রপ্রদেশের কড়পা জেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। গাড়িতে জিলেটিন স্টিক তোলার সময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। খনিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ওই জিলেটিন স্টিকগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিস্ফোরণের ভয়াবহতা দেখে শিউরে ওঠেন স্থানীয়রা। পুড়ে গিয়েছে গাড়ি। বিস্ফোরণের তীব্রতার জেরে উড়ে গিয়েছিল মৃতদের দেহাংশ।


  পুলিশ জানিয়েছিল, স্থানীয় কলসাপাড়ু ও পুলিভেন্দুলা মণ্ডলের শ্রমিকরাই এই জিলেটিন স্টিক গাড়িতে তুলছিলেন। তবে এই কাজের জন্য বৈধ লাইসেন্স ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছিল পুলিশ। ঘটনার আকস্মিকতায় স্তম্ভিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন মোহন রেড্ডি। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছিলেন তিনি। বিপত্তির কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল রাজ্যের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের থেকে।


আরও পড়ুন, ঝোপ পরিষ্কার করতে গিয়ে অঘটন, মাটিতে পুঁতে রাখা বোমা ফেটে গুরুতর আহত যুবক


বিস্ফোরণের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। রাজ্য সরকারকে মৃত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য সাহায্যের ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন তিনি। এক বিবৃতিতে টিডিপি প্রধান বলেছিলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর নিজের জেলাতেই এই ধরনের শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এই কাজ করানোর আগে শ্রমিকদের সুরক্ষার বিষয়টা মাথায় রাখা উচিত।'