পার্থপ্রতিম ঘোষ, রুমা পাল ও রঞ্জিত হালদার, বীরভূম : বৃহস্পতি, শুক্রর পর শনিবারও। ফের বীরভূমে (Birbhum) উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক! ফের নলহাটি থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশের STF। বীরভূমের একাধিক বেআইনি পাথর খাদান ও কয়লা খনিতে সরবরাহ করা হত এই বিস্ফোরক? নাশকতার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


বারুদের স্তূপে বীরভূম


বৃহস্পতিবার, বীরভূমের মহম্মদবাজার থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৮১ হাজার ডিটোনেটর। শুক্রবার নলহাটি থেকে উদ্ধার হয় ৩০ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও ৩ হাজার ডিটোনেটর। আর শনিবার সেই নলহাটি থেকেই সাড়ে ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, ১৪ হাজার জিলেটিন স্টিক এবং ২ হাজার ৮০০টি ডিটোনেটর উদ্ধার করল রাজ্য পুলিশের STF। ফলে ৩ দিনে বীরভূম থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক (Explosive Recovered)।


কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুলিশ প্রশাসনের


বৃহস্পতিবার ভোররাতে মহম্মদবাজারে হানা দেয় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। একটি টাটা সুমো থেকে উদ্ধার হয় ৮১ হাজার ডিটোনেটর। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক আশিস কেওরা নামে রানিগঞ্জের এক বাসিন্দাকে। এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতকে জেরা করে নলহাটির লখনামারা গ্রামে একটি গুদামের হদিশ মেলে। শুক্রবার সেখান থেকেই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। শনিবারও এই একই গুদাম থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হল।


উঠছে একাধিক প্রশ্ন


প্রশ্ন উঠছে এই পরিমাণ বিস্ফোরক কী কারণে জড়ো করা হয়েছিল? জেলার একাধিক বেআইনি পাথর খাদান ও কয়লা খনিতেই কি সরবরাহ করা হত বিস্ফোরক? এসটিএফের দাবি, এই বিস্ফোরক IED তৈরিতেও ব্যবহার হয়। তবে কি কোনও নাশকতার ছক ছিল? STF সূত্রে খবর, বিস্ফোরকগুলি দ্রুত নিষ্ক্রিয় করার জন্য আদালতে আবেদন জানাবে তারা। 


আরও পড়ুন- সর্ষের মধ্যেই ভূত! মাওবাদীদের নাম করে পোস্টার কাণ্ডে ফের হোমগার্ড গ্রেফতার!