আবীর ইসলাম, ইলামবাজার (বীরভূম) : লাঠি-বাঁশ নিয়ে বাড়ির (House) জানালার গ্রিল ভাঙার চেষ্টা। মুহূর্মুহূ ছোড়া হচ্ছে ইটের (Bricks) টুকরো, পাথর (Stone)। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। ঝরল রক্তও (Bloodshed)।  বাড়ির পাশের ৩ ফুট জায়গা নিয়ে তুঙ্গে উঠল বিবাদ। জমির দখলকে ঘিরে বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজারে (Ilambazar) ধুন্ধুমার। পরপর ৭টি বাড়িতে ভাঙচুর, একে অপরকে মারধরের অভিযোগ উঠল। আহত হয়েছেন দু’পক্ষের ৪ জন। 


বিবাদের কেন্দ্রে বাড়ির পাশের ৩ ফুট জায়গা। যা নিয়ে ২ প্রতিবেশীর বিবাদে বীরভূমের ইলামবাজারে তুলকালাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই জমি দখলের অভিযোগে ইলামবাজারের ভগবতীবাজারের বাসিন্দা বাবল আলি ও লালু শেখের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। বৃহস্পতিবার, পরিস্থিতি চরমে ওঠে। একে অপরকে মারধর করার পাশাপাশি পর পর ৭টি বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে দু’পক্ষের বিরুদ্ধে। আহত হন দু’পক্ষের ৪ জন। যদিও মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে দু’পক্ষই। 


দু'পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, মারধরের অভিযোগ করেছে। ঘটনার পর থেকেই থমথমে গোটা এলাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে। 


এদিকে, টোল বসানোকে (Toll Plaza) কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বেঁধেছিল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) আউশগ্রামে (Aushgram)। টোল কর্মীদের বেধড়ক মারধর। হামলার অভিযোগ এলাকাবাসীর একাংশদের বিরুদ্ধে। আর এনিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির (BJP) দাবি, তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই হামলা হয়েছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ, পাল্টা দাবি শাসক দলের। বাঁশ, লাঠি, রড নিয়ে টোল আদায় কেন্দ্রে চড়াও একদল যুবক। তারপর টোল কর্মীদের বেধড়ক মারধর। মারধরে জখম টোল আদায় কেন্দ্রের দুই কর্মী গুসকরা হাসপাতালে ভর্তি। হামলার ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে। মঙ্গলবার সন্ধের যে ঘটনার ছবি সামনে আসার পর, উত্তেজনা ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানা এলাকার ফতেপুর গ্রামে।


আরও পড়ুন- বীরভূমের লোকপুরে বেআইনি কয়লা মজুত রাখার অভিযোগে গ্রেফতার আরও ২ জন