আবীর ইসলাম, নান্টু পাল, বীরভূম: রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (Corona Infection)। এর পরেও প্রশাসনিক বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে তারাপীঠ (Tarapith Temple) মন্দিরে ভিড়। উধাও দূরত্ব বিধি। অন্যদিকে, কঙ্কালীতলায় (Kankalitala) কড়াকড়ি। চলছে মাইকে প্রচার। বোলপুর (Bolpur), শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) হোটেলে চলছে পুলিশি নজরদারি।


রাজ্যে (West Bengal) করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের (Covid 3rd Wave) মধ্যেই তাড়া করছে ওমিক্রন-উদ্বেগ (Omicron)। সংক্রমণে লাগাম টানতে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে রাজ্য সরকার (West Bengl)।  


এই পরিস্থিতিতে বুধবার বীরভূমের (Birbhum) দুই তীর্থক্ষেত্রে দু’ রকম ছবি। বছরের শুরুতে এই সময়ে প্রতিবার তারাপীঠে ভিড় হয়। এবার সংক্রমণ বাড়ায় বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মন্দির চত্বরে একসঙ্গে ৫০ জনের বেশি পুণ্যার্থীর প্রবেশ নিষেধ।


কিন্তু সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বুধবার পুজো দিতে ভিড় করেন পুণ্যার্থীরা। মন্দির চত্বরে উধাও দূরত্ব বিধি। মন্দিরের বাইরেও ছিল লম্বা লাইন। 


পুণ্যার্থী সুপ্রিয় ঘোষের কথায়, হাওড়া থেকে এসেছি মায়ের দর্শন করতে। মন্দিরে কোভিড বিধি সেভাবে মানা হচ্ছে না। ভালই ভিড় হয়েছে।


তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়, প্রতিবার হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়। এবার হাতে গোনা কয়েকজন পুণ্যার্থী। সচেতনতা মেনে মন্দির খোলা রাখা হয়েছে। যাতে কারও আর্থিক ক্ষতি না হয়। 


বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন এসডিপিও। রামপুরহাটের এসডিপিও সায়ন আহমেদের কথায়, ৫০ জনের বেশি মন্দিরে ঢুকতে পারবে না। বাইরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ভিড়ের ব্যাপারটা খতিয়ে দেখছি।


একান্ন পীঠের অন্যতম কঙ্কালীতলার ছবিটা আলাদা। মন্দির চত্বরে পুণ্যার্থীদের ঢোকায় রয়েছে কড়াকড়ি। পাশাপাশি, মন্দির কমিটির তরফে চলছে মাইকে প্রচার।


কঙ্কালীতলা মন্দির প্রধান সেবায়েত মহাদেব ঠাকুরের কথায়, মন্দির চত্বরে ১০ জনের বেশি ঢুকে দেওয়া হচ্ছে না। গর্ভগৃহে ৩ জন। মাস্ক না পরলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


অন্যদিকে, সংক্রমণে রাশ টানতে শীতের মরশুমেও বোলপুর, শান্তিনিকেতনের হোটেল, রিসর্টগুলিতে সমস্ত রকম বুকিং বন্ধ। হোটেল, রিসর্ট পর্যটকশূন্য কি না দেখতে, বুধবার সেখানে হানা দিয়ে রেজিস্টার খতিয়ে দেখে পুলিশ।