ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম ( কঙ্কালীতলা ): বীরভূমের বিখ্যাত সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় দেবীপক্ষের ত্রয়োদশীর পুজোর আয়োজন করা হয়। দেবীরূপে পুজো করা হয় ৫১ জন কুমারীকে। প্রথা মেনে দেবীপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে ৫১ কুমারীকে দেবীরূপে পুজো করা হচ্ছে  সতীপীঠের শেষ পীঠ কঙ্কালীতলায়। কুমারী পুজো ঘিরে কঙ্কালীতলায় শুক্রবার ভক্তদের ঢল। এদিন কঙ্কালীতলায় প্রাচীন বটগাছের নিচে ৪ থেকে ৮ বছরের বয়সের কুমারীদের লাল পাড় সাদা শাড়ি পরিয়ে সাজিয়ে দেবী রূপে পুজো করা হয়। 


এই পুজো শুরু হয়েছিল ৪৭ বছরের বেশি আগে। বোলপুর কঙ্কালীতলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কাপাসটিকুড়ি গ্রামের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য বুদ্ধদেব চট্টোপাধ্যায় কঙ্কালীমায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে ত্রয়োদশীর দিন এই কুমারী পুজোর সূচনা করেছিলেন। সেই থেকেই দুর্গাদুর্গাপুজো" data-type="interlinkingkeywords">পুজোর পরের ত্রয়োদশীর দিনে এই পুজো হয়ে আসছে। সতীর দেহের ৫১টি খণ্ডকে মন্ত্রের দ্বারা একত্রিত করে সঙ্কল্পের মাধ্যমে ঘটে স্থাপন করা হয়। তারপরে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়ে কুমারীদের পুজো করা হয় হোমযজ্ঞের মধ্য দিয়ে।


কোমরের হাড় পড়েছিল কঙ্কালীতলায়
বোলপুরে কোপাই নদীর তীরে কঙ্কালীতলা মন্দির। সতী পীঠের অন্যতম এই স্থানে মায়ের কাঁকাল অর্থাৎ কোমরের হাড় পড়েছিল বলে কথিত রয়েছে। ৫১ পীঠের শেষ পীঠ কঙ্কালীতলা। 


৫১ জনকে নির্বাচিত করা হয় কীভাবে
পুজোর প্রায় এক মাস আগে থেকে কংকালীতলার আশেপাশের বিভিন্ন গ্রামের ৫-১১ বছর বয়সের কুমারীদের পরিবারের সদস্যরা পুজোর জন্য নাম লিখিয়ে যায়। পরে এদের মধ্যে ৫১ জনকে নির্বাচিত করা হয়।

কী রীতিতে পুজো
প্রতি বছর ত্রয়দশীর দিন সকাল থেকে পুজোর আয়োজন শুরু হয়। কুমারীদের লালপাড় শাড়ি পরানো হয় এবং ফুল দিয়ে সাজানো হয়। এর পরে সতীর দেহের ৫১টি খণ্ডকে মন্ত্রের দ্বারা একত্রিত করে সংকল্পের মাধ্যমে ঘটে স্থাপন করা হয় এবং সতীর পূর্নাঙ্গ রূপ দেওয়া হয়।


সকাল ১০ টা  থেকে এই পুজো শুরু হয়, চলে চার ঘন্টা। কুমারীদের যে ভোগ খেতে দেওয়া হয় তা প্রসাদ রূপে ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। 
এই পুজো নিয়ে কঞ্চিশ্বর চট্টপাধ্যায় বলেন, গত ৪৭ বছর ধরে এই পুজো চলে আসছে। এখানে সতীর দেহের ৫১টি খন্ডকে একত্রিত করে একটি পূর্নাঙ্গ রূপ দেওয়া হয়।