আবীর ইসলাম, বীরভূম : তুখোড় স্মৃতিশক্তির জন্য ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে ( India Book of Records ) নাম উঠল শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙ্গার আদিবাসী অধ্যুষিত পাড়ার খুদে রাহি মূর্মু । এই আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।  খুশিতে আপ্লুত বাবা-মা ।


 শান্তিনিকেতনের ফুলডাঙ্গায় আদিবাসী অধ্যুষিত পাড়ার দু'বছরের কম বয়সীর কীর্তি সকলকে মুগ্ধ করে দিয়েছে। সকলকে চমকে রাহি মুর্মুর নাম এখন  ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে। এই খুদে ১০০ টি ছড়া, সমস্ত ফলের নাম , ২০ টি পাখি, সমস্ত জীবজন্তু, ১৭টি যানবাহন, ১০ টি রং, ৬ টি আকৃতি, দেহের দশটি অংশ, ১২ টিরও বেশি দেশের জাতীয় পতাকা এবং ২০ টি সবজির নাম মুখস্থ বলে দিতে পারে ঝরঝর করে। 


এই ছোট্ট মেয়েটির বাবা-মা অনিল মূর্মু এবং সুপর্ণা মূর্মু দুজনেই পেশায় শিক্ষক। এত অল্প বয়সে এতকিছু বিষয় শিখল কী করে রাহি?  বাবা-মা জানালেন, ছোট থেকেই মোবাইল অথবা টিভির পরিবর্তে তাকে ছড়া এবং অন্যান্য জানা-অজানার বিষয়গুলি শোনানো হয়। খাওয়াদাওয়ার সময় তাকে ছড়া শুনিয়ে খাওয়ানো দেওয়ানো  হয়।


রাহি মূর্মুর বাবা-মা খেয়াল করেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা নানান রেকর্ড তৈরি করছে। তা দেখে তাঁরা তাঁদের মেয়ের এই কৃতিত্বকে তুলে ধরার জন্য ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে আবেদন করেন। রাহির বয়স যখন ১ বছর ৪ মাস মাত্র। তখন এই আবেদন করা হয়।  ওয়েবসাইটে রাহির ছড়া বলা সহ অন্যান্য জিনিসপত্রের নাম বলা ভিডিও রেকর্ডিং করে পাঠানো হয়। তারপরেই এই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম ওঠে রাহির। আবেদন করার পর গত জানুয়ারি মাসে এই খুদের নাম রেকর্ড হিসেবে রেজিস্টার্ড হয় ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের খাতায়। পরে তাদের বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছায় একটি সার্টিফিকেট, মেডেল সহ বিভিন্ন সামগ্রী।

মেয়ের এমন কৃতিত্বের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি বাবা-মা। এর পাশাপাশি বাবা-মা অন্যান্য ছেলেমেয়েদের যাতে মোবাইল এবং টিভির থেকে দূরে রাখেন তাদের অভিভাবকরা তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।