আবীর ইসলাম, বীরভূম : পদত্যাগ করলেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল। জানালেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক। এখনও বাংলাদেশে ভবনে তিনি আটকে আছেন বলে দাবি রেজিস্ট্রারের।
ইতিমধ্যেই ১৫ দিন পার হয়েছে পড়ুয়া বিক্ষোভের (Student Agitation)। বিশ্বভারতীতে ফের ঘেরাও হয়েছেন রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল ও কয়েকজন অধ্যাপক। গতকাল বিকেল চারটে বাংলাদশ ভবনে বৈঠক করতে এসে তাঁরা পড়ুয়াদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়েন। মঙ্গলবার সকালেও ঘেরাও চলছে। মাঝরাতে পুলিশ, রেজিস্ট্রার ও অধ্যাপকদের ঘেরাওমুক্ত করতে এলে পড়ুয়ারা শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানান। পড়ুয়াদের স্লোগান ও বিক্ষোভের মুখে পুলিশ পিছু হটে। যদিও পড়ুয়াদের দাবি, তাঁরা কাউকে ঘেরাও করেননি। গেটের সামনে শুয়ে রয়েছেন। বিক্ষোভকারী এক ছাত্রী জানান, ' পদত্যাগ করেছেন জানি না । তবে উনি আমাদের কাল কথা দিয়েছিলেন, আমাদের এই বিষয়টাকে নিয়ে আলোচনায় বসব । কিন্তু সেটা হয়নি বলেই উনি হয়ত পদত্যাগ করেছেন । আমরা কাউকে ঘেরাও করিনি , রেজিস্ট্রা সহ অন্যান্য যাঁরাই ঘরের মধ্যে আছে চাইলে বেরিয়ে যেতে পারেন ।'
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের সংঘাত চলছেই। তিন দফা দাবিতে অনড় থেকে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। নানাভাবে দাবি জানান পড়ুয়ারা। এই মাসের শুরুর দিকেই একবার রেজিস্ট্রারের পা জড়িয়ে ধরে বসে পড়লেন এক পড়ুয়া। অন্যদিকে, বিশ্বভারতীকাণ্ডে আদালত জানিনে দেয় আন্দোলন করা গণতান্ত্রিক অধিকার, আদালত তাতে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে।
এরপর আন্দোলনে ছেদ পড়েনি। মঙ্গলবার ১৬ তম দিন আন্দোলনের। ১১ মার্চ থেকে বিভিন্ন বিভাগে শুরু হয়েছে পরীক্ষা। পড়ুয়াদের একাংশ যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, পরীক্ষা থেকে বিরত রয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতেই জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভের জন্য পরীক্ষার্থীরা কোনও পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে, সেই বিষয়ে তাঁকে অকৃতকার্য হিসেবে ধরা হবে। পরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আর মিলবে না। তবে অন্য কোনও কারণে পরীক্ষা দিতে না পারলে, সেক্ষেত্রে আগের নিয়মেই পরীক্ষা দেওয়া যাবে।