আবীর ইসলাম, বীরভূম : বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) অশান্তি কাটছে না কিছুতেই। ক্রমেই ঘোরাল হচ্ছে পরিস্থিতি। বিশ্বভারতীতে অব্যাহত পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। এরই মধ্য শুরু হয়েছে সিমেস্টার। বিক্ষোভের কারণে পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে অকৃতকার্য হিসেবে ধরা হবে, বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বভারতী।
ইতিমধ্যেই ১৫ দিন পার হয়েছে পড়ুয়া বিক্ষোভের (Student Agitation)। বিশ্বভারতীতে ফের ঘেরাও হয়েছেন রেজিস্ট্রার আশিস আগরওয়াল ও কয়েকজন অধ্যাপক। গতকাল বিকেল চারটে বাংলাদশ ভবনে বৈঠক করতে এসে তাঁরা পড়ুয়াদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়েন। মঙ্গলবার সকালেও ঘেরাও চলছে। মাঝরাতে পুলিশ, রেজিস্ট্রার ও অধ্যাপকদের ঘেরাওমুক্ত করতে এলে পড়ুয়ারা শুয়ে পড়ে প্রতিবাদ জানান। পড়ুয়াদের স্লোগান ও বিক্ষোভের মুখে পুলিশ পিছু হটে। যদিও পড়ুয়াদের দাবি, তাঁরা কাউকে ঘেরাও করেননি। গেটের সামনে শুয়ে রয়েছেন। কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
হস্টেল খোলা সহ তিন দফা দাবিতে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের আন্দোলন ১৬ দিনে পড়ল। মঙ্গলবার থেকে থেকে ২ পড়ুয়া অনশনে বসেছেন।
১১ মার্চ থেকে বিভিন্ন বিভাগে শুরু হয়েছে পরীক্ষা। পড়ুয়াদের একাংশ যাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, পরীক্ষা থেকে বিরত রয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতেই জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভের জন্য পরীক্ষার্থীরা কোনও পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলে, সেই বিষয়ে তাঁকে অকৃতকার্য হিসেবে ধরা হবে। পরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আর মিলবে না। তবে অন্য কোনও কারণে পরীক্ষা দিতে না পারলে, সেক্ষেত্রে আগের নিয়মেই পরীক্ষা দেওয়া যাবে।
এরইমধ্যে আন্দোলনের ১৫ দিনের মাথায় সোমবার খুলেছে সেন্ট্রাল অফিস ও সেন্ট্রাল লাইব্রেরি। যদিও কর্মীরা ঢুকে যাওয়ার পরই বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় ফের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিনও ৩ দফা দাবিতে বিভিন্ন ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পড়ুয়াদের একাংশ। বিক্ষোভকারী পড়ুয়া মীনাক্ষী ভট্টাচার্য জানান, 'আমরা আমাদের দাবিতে অনড়। বিভিন্ন ভবনের পড়ুয়ারা আমাদের পাশে থাকতে ক্লাস ছেড়ে আসবে' ।
সংঘাতের ঝাঁঝ কী আরও তীব্র হবে? সেটাই দেখার।