ভাস্কর মুখোপাধ্যায়,বীরভূম: রামপুরহাটে (Rampurhat) জাতীয় সড়কে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল তোলাবাজির অভিযোগ। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই হল ভাইরাল। ভাইরাল ভিডিও ঘিরে শুরু হল বিতর্ক (Controversy)। এবার বীরভূমের রামপুরহাটে পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল তোলাবাজির অভিযোগ।


সোশ্য়াল মিডিয়ায় রামপুরহাট জাতীয় সড়কের ভাইরাল এক ভিডিও ঘিরে শুরু নয়া বিতর্ক।  অভিযোগ,কোথাও ১০০ কোথাও আবার ২০০ রাতে জাতীয় সড়ক এবং রাজ্য় সড়ক সংলগ্ন একাধিক থানা এলাকা থেকে ট্রাক নিয়ে যেতে হলে দিতেই হবে টাকা। ট্রাক আন্ডারলোড হলে এক নিয়ম,ওভারলোড হলে আরেক।সমাজ মাধ্য়মে ভিডিও সামনে এনে বিস্ফোরক দাবি করলেন এক লরির খালাসি। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করে দেখেনি এবিপি লাইভ।


 সূত্রের খবর, শনিবার রাহুল রায় নামক এক লরির খালাসি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন একটি ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যায় লরির সামনে এসে হঠাৎ থামে একটি পুলিশের গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে আসেন এক পুলিশকর্মী। তাকে দেখে গাড়ির চালক স্পষ্ট চিৎকার করে বলতে থাকেন ইউনিয়নের নিয়ম মেনে তিনি ১০০ টাকা দিয়েছেন আর কোন টাকা তিনি দেবেন না। এমনকী তিনি বলেন তার গাড়ি আন্ডারলোড, চালানও আসল। 


এদিকে গতকালই আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। আরটিএ মেম্বার বোর্ড (RTA Member) লাগানো গাড়িতে করে তোলাবাজির অভিযোগ। লরি দাঁড় করিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছিল চার যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ পেট্রোলিং এর সময় বিষয়টি নজরে আসতেই গ্রেফতার হয়েছিলেন চার অভিযুক্ত।  রাস্তায় দাঁড়ানো একটি  গাড়িতে লাগানো রয়েছে মেম্বার লাগানো বোর্ড। রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সেই গাড়ি থেকে থামানো হচ্ছে দূরপাল্লার লরি।


আরও পড়ুন, পেট্রোলের দাম কমল আগ্রায়, আজ কতটা পকেট বাঁচাচ্ছে কলকাতা ?


দাবি করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। কোনও গাড়ি থেকে দশ হাজার আবার কোনও গাড়ি থেকে তার বেশি টাকাও দাবি করা হচ্ছে। রাতে পেট্রোলিং এর সময় বিষয়টি নজরে আসে গাজল থানার পুলিশ আধিকারিকদের। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকর্মীরা বুঝতে পারেন গাড়িতে বোর্ড লাগিয়ে তোলাবাজি করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ওই চারজনকে। তারপর থানায় নিয়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় গাড়ির মালিক-সহ তিন জনকে।