ভাস্কর মুখোপাধ্যায়,বীরভূম: কাঁকড়তলা থানা এলাকায় নৃশংস খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। 'তৃণমূল সমর্থক খুনের' ঘটনায় কাঁকড়তলা থানার ওসি সামিম খানকে ক্লোজ করা হয়েছে।


উল্লেখ্য,  বুধবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ খয়রাশোল ব্লকের  কাঁকড়তলা থানার পশ্চিম বড়কলা গ্রামের অজয় নদীর চর থেকে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। তাকে নাকড়াকোন্দা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত ব্যক্তির নাম শেখ মতিন বয়স আনুমানিক ৫০  বছর। বাড়ি পশ্চিম বড়তলা গ্রামে। মৃত ব্যক্তির পরিবারের তরফে লোকজন জানাচ্ছেন, তাঁকে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে। এবং তিনি তৃণমূল সমর্থক ছিলেন।


গতমাসে এই জেলাতেই তৃণমূল নেতা 'খুনের' পাল্টা 'খুন', পর পর বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছিল। কাকভোরে জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের অভিযোগ উঠেছিল। ৫ কিমি দূরের গ্রামে তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছিল। জয়নগরে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। পাল্টা আততায়ী অভিযোগে একজনকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল।  বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের স্বামী সইফুদ্দিন লস্করকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল বলে দাবি জানানো হয়েছিল। বাড়ির কাছেই শ্যুটআউট, পাল্টা তাড়া করে এক অভিযুক্তকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল। এরপরেই গ্রাম ঘিরে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে আগুন, মারধরের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল।


সেসময় তৃণমূল বিধায়ক ও পুরমন্ত্রী  ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন,'আমি বলতে চাই সিপিএম, তোমার হার্মাদ, তোমার খুনি যত আছে নিয়ে এসো। আমরা তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড়িয়ে আছি, একটা একটা করে খুন করো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সৈন্যকে তোমরা শেষ করতে পারবে না। পারবে না। পারবে না।' ফিরহাদ হাকিম আরও বলেছিলেন, 'সইফুদ্দিন লস্কর কী অন্য়ায় করেছে? কোনও বড় মানুষের টাকা মেরে দিয়েছে? কোথাও কারও স্বার্থে ঘা লেগেছে? না। সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক কারণে যাদের সইফুদ্দিন লস্কর যদি থাকে, তাহলে এখানে সিপিএমের পায়ের তলার মাটি পাবে না। শুধু তার জন্যে একটা লোককে, হত্যা করে দিল।  একটা অনুরোধ আপনাদের আর কেউ এলাকায় সিপিএমকে বিশ্বাস করবেন না। সিপিএম মানেই বিজেপি।' 


আরও পড়ুন, পেট্রোলের দাম বাড়ল দেশের একাধিক শহরে, কলকাতায় জ্বালানির দর কী ?


এখানেই শেষ ন, সদ্য বারুইপুরের মদারহাটে তৃণমূল কর্মী খুনের আরও একটি ঘটনা ঘটেছিল (TMC Worker Murder Case)। সেখানে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। পরিবারের অভিযোগ ছিল, গোষ্ঠীকোন্দলেই খুন হন তৃণমূল কর্মী সইদুল শেখ। অভিযুক্তরা বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দারের ঘনিষ্ঠ। যদিও তৃণমূল খুনের দায় চাপিয়েছিল বিজেপি ও সিপিএমের ঘাড়ে। এই ঘটনায় একাধিক জনকে গ্রেফতার করেছিল বারুইপুর থানার পুলিশ