পুরুলিয়া:   পুরসভার ভোটের আগে দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ে কঠোর রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।  শীর্ষ নেতৃত্বের কড়া বার্তার পরেই জেলায় জেলায় দলের বিক্ষুব্ধ  ‘নির্দল’  (Rebel Independent Candidate) প্রার্থীদের বহিষ্কার (Suspend)  করা হচ্ছে।  পুরুলিয়ার পর এবার দুবরাজপুরে (Birbhum Dubrajpur) ৩ বিক্ষুব্ধকে বহিষ্কার করল তৃণমূল।  দুবরাজপুর পুরসভার ১, ৬, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থীদের বহিষ্কৃত করা হল।  পুরুলিয়া, ঝালদা পুরসভারও ৮ বিক্ষুব্ধকে বহিষ্কার করল তৃণমূল।  ৬ বছরের জন্য দল থেকে ৮ বিক্ষুব্ধকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। তৃণমূল কর্মী হয়েও নির্দল হয়ে ভোটের লড়াইয়ে দাঁড়ানোয় বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিল দল।


শীর্ষ নেতৃত্বের বার্তার পর উত্তর ২৪ পরগনায় ২৮ বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। 


উল্লেখ্য, রাজ্য়ে ১০৮ পুরসভার ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর জেলায় জেলায় কর্মীদের একাংশের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরা তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ্যে জানিয়ে সরব হয়েছিলেন।  প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে বহু জায়গাতেই দলের বিক্ষুব্ধদের কেউ কেউ দল ছেড়ে অন্য দলে সামিল হয়েছেন। একইসঙ্গে দলে একাংশের কেউ কেউ নির্দল প্রার্থী হিসেবে পুরভোটে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া বার্তা দিয়েছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। বলেছিল, দলের সিদ্ধান্ত মেনে না নেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


উল্লেখ্য, নির্দল-কাঁটা সরাতে কোচবিহারেও কড়া পথে হাঁটল তৃণমূল নেতৃত্ব।  কোচবিহার পুরসভার ৪ নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করল শাসকদল। ‘তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নির্দল প্রার্থীদের কোনওদিন দলে ফেরানো হবে না।’জানিয়ে দিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ।  


দল টিকিট না দিলেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে পড়া। পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই সামনে এসেছে এই ছবি। যার ব্যতিক্রম ঘটেনি কোচবিহারেও।  দলীয় নেতৃত্বের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও যে সকল বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা নির্দল হিসেবে লড়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেননি, উল্টে তৃণমূল প্রার্থীকে হারাতে প্রচার চালিয়ে গেছেন, এবার তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করল কোচবিহারের তৃণমূল নেতৃত্ব।