আবীর ইসলাম, এরশাদ আলম, বোলপুর: রাজ্যজুড়ে হুহু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। চোখ রাঙাচ্ছে ওমিক্রন। বর্ষশেষ, বর্ষবরণে বেলাগাম বেপরোয়া উদ্যাপনের ফলেই করোনা সংক্রমণ বেড়েছে বলে মত চিকিৎসকদের। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, বর্ষশেষে বীরভূমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেখানে ছিল ৩৪, সেটাই সোমবার দেড়শোর চৌকাঠ পেরিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলাজুড়ে সচেতনতা বাড়াতে ফের পথে নামল পুলিশ-প্রশাসন। আজ বোলপুরের শিবতলা মোড়ে নাকা তল্লাশি চালায় পুলিশ। ফিরিয়ে দেওয়া হয় পর্যটকদের গাড়ি।
বোলপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুরজিৎ কুমার দে জানান, ‘বাইরে থেকে আসা গাড়ি রুখতে নাকা চেকিং চলছে।’
অন্যদিকে, এদিন সোনাঝুরি হাটে পুলিশ, রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ও হাট কমিটির উদ্যোগে সাফাই অভিযান চালানো হয়। শান্তিনিকেতন হাট কমিটির সম্পাদক তন্ময় মিত্র জানিয়েছেন, ‘করোনা বিধি মানতে অভিযান চলছে। আমরাও চেষ্টা করছি।’
সোনাঝুরির পাশাপাশি কোপাই নদী, বল্লভপুর-সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রেও কড়া নজরদারি চালায় প্রশাসন।
এদিকে, বক্রেশ্বর মন্দির বন্ধ না হলেও, সেখানকার উষ্ণ প্রস্রবণে পর্যটকদের স্নানে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। করোনাবিধি মেনেই সেখানে চলছে পূজার্চনা।
আজ মামা-ভাগ্নে পাহাড়ের কোলে পাহাড়েশ্বর মন্দিরে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে থাকায় পুলিশের তরফে মাইকে প্রচার করে। সরিয়ে দেওয়া হয় পর্যটকদের।
লাভপুরের ফুল্লরা মন্দির, কঙ্কালিতলা, নলাটেশ্বরী নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
এদিকে, রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্তের ৬ হাজারের উপরেই রয়েছে। গতকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হন ৬ হাজার ৭৮ জন। মৃত্যু হয় ১৩ জনের। রাজ্যে পজিটিভিটি রেট প্রায় ২০ শতাংশ। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হন ২ হাজার ৮০১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
রাজ্যে রকেট গতিতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এর মধ্যেও একাধিক জেলায় বাজারে ধরা পড়ল ঢিলেঢালা মনোভাব! দেখা গেল মাস্কহীন মুখের সারি! যদিও অনেক জায়গাতেই অভিযানে নেমেছে পুলিশ।
শিকেয় ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চলার নির্দেশ। ট্রেনে ট্রেনে বাদুড়ঝোলা ভিড়। স্টেশনে শিকেয় দূরত্ববিধি। অফিসটাইমে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলার বিধি শিকেয় মেট্রো রেলেও।