আবীর ইসলাম, নানুর (বীরভূম): বীরভূমে ফের বিজেপিতে (BJP) ভাঙন। নানুরের (Nanur) সর্পলেহনা আলবাঁধা পঞ্চায়েত (Panchayet) এলাকার এক বুথ সভাপতি-সহ বিজেপির আড়াইশো কর্মী যোগ দিলেন তৃণমূলে (tmc)। দলত্যাগীদের দাবি, রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম দেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে, গেরুয়া শিবিরের পাল্টা দাবি, ভয় দেখিয়ে দল বদল করিয়েছে তৃণমূল (TMC)।
সামনের বছর পঞ্চায়েত ভোটের জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। বুথে বুথে সংগঠন বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে নেতৃত্ব। কিন্তু, তারমধ্যেই বীরভূমে ফের ভাঙন ধরল গেরুয়া ব্রিগেডে। নানুরের সর্পলেহনা আলবাঁধা পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির ২৫০ জন যোগ দিলেন তৃণমূলে। শিবির বদলেছেন সঞ্জীব গাঁতাইত নামে স্থানীয় এক বুথ সভাপতিও। রবিবার নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধান মাঝির হাত ধরে এই দলবদল হল।
ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েই, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বকে তুলোধনা করেছেন দলত্যাগী বুথ সভাপতি। সর্পলেহনা আলবাঁধা বিজেপির দলত্যাগী বুথ সভাপতি সঞ্জীব গাঁতাইতের কথায়, বুথে জয়ের পরেও বিজেপি নেতৃত্বকে পাশে পাইনি, তৃণমূলের উন্নয়ন দেখে এই সিদ্ধান্ত নিলাম।
একুশের বিধানসভা ভোটে নানুর কেন্দ্রে তৃণমূল জয় পেলেও, সর্পলেহনা আলবাঁধা পঞ্চায়েতের ১১টি বুথের মধ্যে ৯টি তেই জয়ী হয়েছিল বিজেপি। এক বছর পর সেখানেই পদ্ম শিবিরে ভাঙন ধরাল বঙ্গের শাসক দল।
পুরুলিয়ায় বিজেপিতে ভাঙন: এর আগে পুরুলিয়া (Purulia) জেলায় বিজেপির (BJP) ভাঙন প্রকাশ্যে আসে। গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে তৃণমূলে যোগ দেন তপশিলি মোর্চার একাধিক কার্যকর্তা। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
কী ঘটেছে?
অমিত শা-র বঙ্গ সফরের পর দশদিন অতিক্রান্ত। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কায়দায় দলকে রাস্তায় নেমে জোরদার আন্দোলনের নির্দেশ দিলেও বঙ্গ বিজেপিতে গৃহযুদ্ধ চলছেই। এবার পুরুলিয়া জেলা বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন তপশিলি মোর্চার একাধিক কার্যকর্তা। সোমবার পুরুলিয়া শহরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে বিজেপি ত্যাগী নেতাকর্মীদের হাতে ঘাসফুলের পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া। তৃণমূল সূত্রে দাবি, শতাধিক বিজেপি নেতাকর্মী সোমবার ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন।