ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: ফের পাড়ুই থানার ভেড়ামারি গ্রাম থেকে তিনটি প্লাস্টিকের ড্রাম ভর্তি বোমা (Bomb Rescue) উদ্ধার করল পাড়ুই থানার পুলিশ (Police)। বোমা যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই এলাকা পুলিশ (Police) ঘিরে রেখেছে। শনিবার সকালে বোম ডিস্পোজাল স্কোয়ার্ড টিম আসবে এবং তারা বোম গুলি নিস্ক্রিয় করবেন বলে জানালেন জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর  মুখোপাধ্যায়। 


প্রসঙ্গত, এই ভেড়ামারি গ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ছিল। একটি কংক্রিটের বাড়ি এই বিস্ফোরণ সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে। মূলত, সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মুখে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বীরভূমে। সন্ধে সাতটা নাগাদ, পাড়ুইয়ের এই ভেড়ামারি গ্রামেই তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য শেখ হাফিজুলের বাড়ির গোয়াল ঘরে বোমা বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় গোয়ালঘর। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, তাঁর বিকট শব্দ ১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে বোলপুরেও শোনা গেছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।


বোমা উদ্ধারের  ঘটনায় ইতিমধ্যেই অসংখ্যবার নাম উঠেছে বীরভূমের।বোমা উদ্ধারের ঘটনায় হনহনিয়ে বোম স্কোয়াডের ভারী বুটের দৃশ্য সামনে এসেছে সংবাদমাধ্য়মে। সরব হতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতাদেরও। এমন কি অতীতে রাজনৈতিক নেতার বাড়িতেও বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এবার বিষয়টা, আর শুধুই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় থেমে নেই। খোদ শাসকদলের নেতার  গোয়াল ঘরেই এবার বোমা বিস্ফোরণ।  এবার সবথেকে বড় কথা হচ্ছে, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় হরিদেবপুরকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, 'অস্ত্র আসছে বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ থেকে।' অপরদিকে, 'বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ', পাল্টা তোপ দেগেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল। এমন বলেছিলেন কি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। 


আরও পড়ুন, 'কালো টাকার দায় নিতে হবে কেন্দ্রকেই', বিস্ফোরক অভিষেক


 গতমাসেই বীরভূমের মাড়গ্রামে ফের বোমা (Bomb) উদ্ধার হওয়ার ঘটনা সামনে আসে। তপন গ্রামে জেলবন্দি সিপিএম (CPM) নেতার বাড়ির পাশ থেকে দু ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ (Police)। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, সিপিএম নেতা ইয়াকুব শেখকে ফাঁসানোর জন্য তাঁর বাড়ির পাশে বোমা রেখে গেছেন তৃণমূল (TMC) কর্মীরা। দোষীদের গ্রেফতারির দাবি তুলে পুলিশকে বোমা উদ্ধারে বাধা দেন তারা। বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার জন্য বম্ব স্কোয়াডে খবর দেওয়া হয়।  গত ৪ ফেব্রুয়ারি মাড়গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক তৃণমূল কর্মীর। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইয়ের। তার এক সপ্তাহের মাথায় বোমা মারার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যর খামার বাড়ি থেকে ৩ ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার হয়।