ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, সাঁইথিয়া : প্রায় এক দশক আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের (TMC MP Satabdi Roy) কাছে আজ এই অভিযোগ জানালেন গ্রামবাসী। অন্যদিকে, গ্রামবাসী অভিযোগ জানানোর সময় দলীয় নেতৃত্ব পাশে না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শতাব্দী।


গ্রামের স্কুলে যাওয়ার রাস্তা পাকা হবে। নিকাশি নালা হবে। প্রায় এক দশক আগে সাংসদ হওয়ার পর সাঁইথিয়া ব্লকের (Sainthia Block) দেওয়াশ গ্রামে এসে এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শতাব্দী রায়। কিন্তু, তারপর আজ গ্রামে এলেন সাংসদ। সাংসদের দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। তাই আজ সাংসদকে কাছে পেয়ে সেই অভিযোগ জানান তাঁরা।


অন্যদিকে, ফুলুর পঞ্চায়েতর সদস্য রঞ্জিত বাগদি দাবি করেন, গ্রামবাসী মিথ্যা কথা বলছেন। সাংসদ শতাব্দীও দাবি করছেন, প্রতিশ্রুতি দিইনি। গ্রামবাসী বলেছেন। আমি যতটা সম্ভব করব। 


এদিকে গ্রামবাসী যখন অভাব অভিযোগ জানাচ্ছেন তখন কেন পঞ্চায়েত সদস্য বা তৃণমূল নেতারা পাশে থাকছেন না তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শতাব্দী রায়।


অসন্তোষের মুখে আগেও-


দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একাধিকবার ক্ষোভের মুখে পড়েছেন শতাব্দী। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও ক্ষোভের মুখে পড়েন। 'জল নেই, আবাস যোজনার বাড়ি নেই, মেলেনি শৌচাগার', খয়রাশোলের পর মহম্মদবাজারে অসন্তোষের মুখে পড়েন শতাব্দী (Satabdi Roy)। দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রামবাসীর অসন্তোষের মুখে পড়েন তৃণমূল সাংসদ। বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা থেকেও বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ ওঠে। 'জেলার উন্নয়ন বৈঠকে ৯৯ শতাংশ শৌচাগার তৈরির রিপোর্ট পেশ হয়েছে', তার পরেও কেন কাজ হয়নি, খোঁজ নেব, বলেন জানান শতাব্দী।


মহম্মদবাজারে মহিলারা সাংসদকে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন,' কেন গ্রামের সব বাড়িতে শৌচাগার হয়নি? কেন প্রকৃত প্রাপকরা আবাস যোজনায়  বাড়ি পাননি? কেনই বা বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা ?' এমনই প্রশ্ন তুলে সরব হন গ্রামবাসী। 


প্রসঙ্গত, বীরভূমে এর আগে  দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন শতাব্দী রায়। সিউড়ির কৈখি গ্রামে তাঁর গাড়ি আটকে রাস্তা, পানীয় জল নিয়ে অভিযোগ করেন এক বৃদ্ধা। পড়ে গ্রামে গেলে সেখানেও রাস্তা, নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা।  


আরও পড়ুন ; 'জল নেই, আবাস যোজনার বাড়ি নেই, মেলেনি শৌচাগার', মহম্মদবাজারে অসন্তোষের মুখে শতাব্দী