পরিতোষ দাস, বীরভূমঃ বীরভূমের লাভপুরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Delegation in Birbhum Labhpur)। মূলত ১০০দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প এবং আবাস যোজনার কাজ ক্ষতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। রয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তিন সদস্যের সঙ্গে রয়েছেন জেলা ও ব্লক আধিকারিকরাও।
মূলত, বহুদিন ধরেই বিতর্কে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প। ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযোগ উঠেছে। শুধু বীরভূমের লাভপুরেই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামেও কেন্দ্রীয় প্রকল্প খতিয়ে দেখতে আসেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মূলত বাংলার আবাস যোজনার যে বাড়িগুলি ধার্য করা হয়েছে, সেগুলিই খতিয়ে দেখতে রাজ্য়ে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। জুলাইয়ের শুরুতেই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের একাধিক এলাকায় খতিয়ে দেখেন। এবার তাঁরা বীরভূমের লাভপুরে ১০০দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প এবং আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখেন এদিন। ওই এলাকায় একটি পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে, তার কাগজপত্র অনুযায়ী সব কিছু কাজ হয়েছে কিনা, পাশাপাশি একটি পাঁচিল ঢালাই এবং নদী বাঁধের গভীরতা সঠিক রাখা হয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।
আরও পড়ুন, কেউ যদি দোষী হয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হোক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং বাংলা আবাস যোজনার নামে অদলবদলের অভিযোগ শোনা যায়। এদিন বোলপুর বিজেপির সাংগাঠনিক জেলা সভাপতি বলেছেন, এই ইস্যুতেও ইডি-সিবিআই-র তদন্তে নামা উচিত। ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। স্বাভাবিকভাবেই এহেন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের নাম জুড়তেই ক্ষুব্ধ কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। প্রসঙ্গত, এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে সামনে রেখেই একুশের বিধানসভা ভোটে জয় আনতে বারবার প্রতিশ্রুতি ফিরেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণেও। ডবল ইঞ্জিনের সরকার প্রতিষ্ঠা করে কীভাবে এই সরকারি প্রকল্পগুলি থেকে আর বাংলার কেউ বঞ্চিত হবেন না, তা বুঝেছিলেন মোদি-শাহ-রা। যদিও তৃতীয়বার সরকার গঠন করে মমতার সরকার। তবে সরকার গঠনের পরেও এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে ঘিরে একাধিক অভিযোগ ওঠে ।