রামপুরহাট : রামপুরহাটে এসএফআইয়ের সভায় (SFI Rally) বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হল। দীপ্সিতা ধরের (Dipsita Dhar) ভাষণ চলাকালীন আপত্তি যুবকের। দীপ্সিতার ভাষণে আপত্তি করায় যুবককে ঘিরে ধাক্কাধাক্কি। পরে যুবককে আটক করে রামপুরহাট থানার পুলিশ। অভিযুক্ত যুবককে বলতে শোনা যায়, "শুধু রাম মন্দির নিয়ে কমেন্ট করে যাচ্ছেন তখন থেকে।"


এ প্রসঙ্গে পরে দীপ্সিতা বলেন, "ইংরাজিতে একটা কথা আছে মায়োপিয়া। তার মানে, আপনি সমস্তটা দেখতে পারেন না। অল্পটা দেখতে পারেন। আমার মনে হয়, তেমন একটা কোনও রোগ ওঁরও হয়েছে। আমি অনেকগুলো কথা বলেছি। কৃষকের কথা, শ্রমিকের কথা বলেছি...আমি মহিলা কুস্তিগীরের কথা বলেছি। এই সমস্ত কিছু ছাড়া উনি কেবল রাম মন্দিরটাই শুনতে পেরেছেন। ফলে, যাঁরা গণ্ডগোল করতে চান, সমস্যা করতে চান, তাঁরা আমার অনেক কিছু খুঁজে বের করবেন। আমরা যাঁরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি, আমরা যাঁরা দায়িত্বশীল রাজনীতিক, আমরা জানি আমরা এমন কোনও কথা বলিনি যেকথাটা অযোক্তিক, যেকথাটা কোনওভাবে মিথ্যা। ফলে, আমরা যা বলেছি, আমরা তার পক্ষেই দাঁড়িয়ে আছি। আমরা কোথাও কোনও ভুল করিনি। যে মানুষের গায়ে লাগছে, তাঁরা আসলে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কিছু শুনতে পারছেন না। আমরা সত্যি কথাগুলো বলছি। সত্যিটা ওঁদের গায়ে লাগছে। বেশি বেশি ওঁদের গায়ে লাগুক। এটাই আমরা চাই।"


সম্প্রতি ব্রিগেডে বিশাল সমাবেশ করে বাম যুব সংগঠন DYFI। বৃদ্ধতন্ত্রের বেড়াজাল ভাঙে বাম-ব্রিগেড। ইনসাফের দাবিকে সামনে ব্রিগেড ভরান মীনাক্ষীরা। সাতমুখী স্রোত থেকে ব্রিগেডের ভিড় - সবাই গলা মেলান মীনাক্ষীদের সঙ্গে।  ব্রিগেডের পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব কী বার্তা দেন, তা শুনতে গ্রামগঞ্জ থেকে ছুটে এসেছিলেন বহু সিপিএম কর্মী।  


রবিবারে ইনসাফের ব্রিগেডে তৃণমূল-বিজেপিকে একসারিতে বসিয়ে আক্রমণ করেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, লড়তে এসেছি তো? আর গোটা রাজ্যের যে মাঠে ওরা রাজনীতিকে নিয়ে বলেছিল খেলা হবে, সেই মাঠের দখল। “আর বাপ-মায়ের হাত ধরে যখন ব্রিগেডের লড়াইটা করতে এসেছি। তখন আমাদের এটা কেউ শেখায়নি যে, আর ব্রিগেডে মাঠে আর রাজনীতিটা করতে গেলে চোরেদের বাড়িতে জন্ম নিতে হবে। রাজনীতিটা করতে গেলে ২৫ আর ৭৫-এর ভাগ-বাঁটোয়ারা করতে হবে, দল শেখায়নি। শিখিয়েছে, পাশের জনের হাত ধরতে হবে, আর এগিয়ে যেতে হবে।’’