ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বেহাল রাস্তা সারানোর দাবিতে বোলপুরে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার (Deputy Speaker of the Legislative Assembly)। আটকে দেওয়া হল আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি। রাস্তা সারাই নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিলেন ডেপুটি স্পিকার।


বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার: খারাপ রাস্তা নিয়ে অবরোধের জেরে বীরভূমে (Birbhum) আটকে পড়ল বিধানসভার ডেপুটি স্পিকারের গাড়ি। বিক্ষোভের মুখে গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য রাস্তা ধরলেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুর থেকে কঙ্কালিতলা যাওয়ার ৩ কিলোমিটার রাস্তা। বোলপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়া ২ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। জায়গায় জায়গায় পিচের আস্তরণ উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তা খারাপ থাকায় যখন-তখন ঘটছে দুর্ঘটনা।


পুজোর আগে রাস্তা সারানোর দাবিতে সোমবার অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বেঞ্চ পেতে, বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয় রাস্তা। রামপুরহাট থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে, অবরোধে আটকে পড়ে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ও রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি। দ্রুত রাস্তা সারানোর দাবি জানান স্থানীয়রা। অবরোধের মিনিট পনেরো আটকে ছিল ডেপুটি স্পিকারের গাড়ি। শেষপর্যন্ত গাড়ি ঘুরিয়ে অন্য রাস্তা ধরে ডেপুটি স্পিকারকে এলাকা থেকে বের করে নিয়ে যায় পুলিশ। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি কলকাতা যাচ্ছি। বিধানসভায় যাব৷ এখানে একটা বিক্ষোভ হচ্ছে। রাস্তা খারাপ। ওদের দীর্ঘদিনের সংস্কারের দাবি৷ আমি মন্ত্রীকে বিষয়টি জানাব।"


এদিকে উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা বিশ্বভারতীকে দেওয়ার আবেদন করে এবার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য। রবিবার এই চিঠি দেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তায় টোটো নিয়ন্ত্রণ করতে রাস্তায় নামেন উপাচার্য। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর দাবি, তারপরই উপাসনা গৃহের সামনে থেকে কালীসায়র পর্যন্ত রাস্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। অভিযোগ, দু'টি চিঠি দেওয়া হলেও কোন উত্তর আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রম এলাকায়, কালীসায়র থেকে পোস্টঅফিস মোড় পর্যন্ত ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। একসময় রাস্তার দেখভালের দায়িত্বে ছিল পূর্ত দফতর।রাস্তার দু'দিকে রয়েছে একাধিক ঐতিহ্যবাহী ভবন, ভাস্কর্য, স্থাপত্য। ২০১২ সালে রাস্তাটি চেয়ে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানায় বিশ্বভারতী। ২০১৭ সালে রাস্তাটি দেওয়া হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। অভিযোগ, পরবর্তীকালে এই রাস্তা দিয়ে ভারী যানচলাচল বন্ধ করে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সমস্যায় পড়ে রাস্তা ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন আশ্রমিকরা। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ি-বিতর্কের মধ্যে বিশ্বভারতীর সঙ্গে রাজ্যের সংঘাতের আবহে ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাস্তা ফিরিয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী। শান্তিনিকেতন ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পাওয়ার পর ফের রাস্তাটি পেতে উদ্য়োগী হয়েছে বিশ্বভারতী।


আরও পড়ুন: TMC Protest: 'কোন আইনে কাজ করার পরেও টাকা রাখা হয়েছে?' বকেয়া আদায়ে কেন্দ্রের কাছে দরবারের দাবি তৃণমূলের