বীরভূম: পঞ্চায়েত ভোটের আগে রক্তাক্ত বীরভূম (Birbhum)। বীরভূমের সাঁইথিয়ার বোমাবাজির পর ইতিমধ্যেই বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি বোম স্কোয়াডের। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার এখনও অবধি ৪০ টি বোমা। ২০ ঘন্টা পার, এখনও মূল অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় এবার মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম এবং শমীক ভট্টাচার্য (Firhad Hakim and Samik Bhattachaya)। 


বীরভূমে গিয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, 'গ্রাম্য বিবাদ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পুলিশ অনেককে গ্রেফতার করেছে। কোনও অপরাধীই ছাড় পাবে না'। 'পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে। জেলাজুড়ে দখলদারির রাজনীতি শুরু হয়েছে। মন্তব্য রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের। প্রসঙ্গত,  পঞ্চায়েত ভোটের আগে রক্তাক্ত বীরভূম । বীরভূমের সাঁইথিয়ার বোমাবাজির পর ইতিমধ্যেই বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি বোম স্কোয়াডের। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার এখনও অবধি ৪০ টি বোমা। ২০ ঘন্টা পার, এখনও মূল অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃণমূলের (TMC Inner Clash) গোষ্ঠী-বিবাদের জেরে গতকালের বোমাবাজির পর, আজও থমথমে সাঁইথিয়ার (Sainthia) বহড়াপুর গ্রাম। এখনও পর্যন্ত ১২ জন তৃণমূল কর্মীকে (TMC Leader) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রামে পুলিশি টহল চলছে। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। এরপরও গোটা গ্রাম পুরুষ শূন্য। অশান্তির আশঙ্কায় বাচ্চাদের নিয়ে গ্রাম ছাড়ছেন মহিলারাও। যেখানে বোমাবাজি হয়, সেখানে চাপ চাপ রক্তের দাগ। পড়ে আছে খালি বালতি। এই বালতি করেই বোমা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিস্ফোরণে তৃণমূল কর্মী শেখ সাদ্দামের ডান পা উড়ে যায়। ১৪ বছরের এক কিশোরের গোটা শরীরে স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে বলে জানা গেছে। ২ জনেই সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি।


 পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের দ্বন্দ্বে (TMC Inner Clash) ফের রক্তাক্ত বীরভূম (Birbhum)। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বোমাবাজি , সাঁইথিয়ায় (Sainthia) উড়ল হাত-পা। সাঁইথিয়ায় বোমায় উড়ল নাবালকের হাত-পা, আরেকজনের পা। ঘটনা বীরভূমের সাঁইথিয়া ফুলুরের বহরাপুর গ্রামের। মাত্র কয়েক মাস বাকি পঞ্চায়েত ভোটের। তার আগে ফের রক্ত ঝরল বীরভূমে। সোমবার গ্রাম দখল ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে সাঁইথিয়ার বহরাপুর গ্রাম। সংঘর্ষে হল বোমাবাজি, উড়ল নাবালকের হাত-পা, আরও একজনের পা। আহতদের নাম শেখ সাদ্দাম ও শেখ মুজাফ্ফার। সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও কার্যকরী ব্লক সভাপতি ঘনিষ্ঠদের মধ্যে লড়াই। সিউড়িতে খুনের ৭ দিন পেরোতে না পেরোতেই এবার সাঁইথিয়ায় বোমাবাজি, আহত ২। বোমাবাজিতে পা উড়ল তৃণমূলের কার্যকরী ব্লক সভাপতির অনুগামীর। ঘটনায় সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠল। ‘সবাই অনুব্রত মন্ডল হতে চাইছে, বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা কমিটির এক নেতা। দু’পক্ষই তৃণমূল, নিয়ন্ত্রণ নেই ব্লক সভাপতির, জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’ সংঘর্ষের জন্য ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধেই অভিযোগ তৃণমূলের কার্যকরী ব্লক সভাপতির।


আরও পড়ুন, বীরবাহা সম্পর্কে 'কুরুচিকর মন্তব্যে'-র জের, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের


 স্থানীয় সূত্রে দাবি, তৃণমূলের সাঁইথিয়া ব্লকের সভাপতি সাবের আলি খান ও তাঁর অনুগামী শেখ সুকুর এবং সাঁইথিয়া ব্লকের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ও বনগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তুষার মণ্ডলের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। পঞ্চায়েতের কাজের দায়িত্ব কাদের দখলে থাকবে, সে নিয়ে সম্প্রতি গণ্ডগোল চরমে ওঠে। অভিযোগ, সোমবার বিকেলে আচমকা, তুষার মণ্ডলের অনুগামীদের লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে সাবের-সুকুর গোষ্ঠীর লোকজন। বিস্ফোরণে পা উড়ে যায় তৃণমূল কর্মী শেখ সাদ্দামের। গুরুতর জখম হয় এক নাবালক।  তৃণমূলের ‘বিবাদে’ বোমাবাজি, বিস্ফোরণে পা উড়ল তৃণমূল কর্মীর। গোটা ঘটনাকে ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ বলে কটাক্ষ বিজেপির।