ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর : মধ্যরাতে ঘুমের মধ্যে বাড়িতে আগুন। পুড়ে মৃত্যু মা ও চার বছরের ছেলের। আগুনে পুড়ে গুরুতর জখম বাবা। পরিবারের বড় ছেলে ও প্রতিবেশীদের একাংশের অভিযোগ, কেউ বা কারা রাতে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় বীরভূমের বোলপুর থানার অন্তর্গত রজতপুর গ্রামে। এনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ডাকা হয়েছে ফরেন্সিক টিমকে।


স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাত ১২টা নাগাদ শেখ আব্দুল আলিমের বাড়িতে আগুন লাগে। সে সময় একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিল স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের ৪ বছরের ছেলে। চোদ্দ বছরের বড় ছেলে ছিল পাশের ঘরে। অগ্নিদগ্ধ বাবা, মা ও ছোট ছেলেকে প্রথমে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় বর্ধমান মেডিক্যালে। সেখানেই মৃত্যু হয় মা ও তাঁর শিশুপুত্রের।


ঘটনার বিস্তার...


বোলপুর থানার রজতপুর গ্রাম। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আব্দুল আলিম। তিনি, তাঁর স্ত্রী রূপা বিবি ও তাঁদের ৪ বছরের সন্তানকে নিয়ে একটি ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। সেই সময় কোনওভাবে আগুন লাগে। তাতে তিনজনই দগ্ধ হন। পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রূপা বিবি ও তাঁর বাচ্চা মারা গিয়েছেন। আইসিইউতে রয়েছেন শেখ আব্দুল আলিম। ঘটনার পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। কারণ তাদের তরফে জানানো হয়েছে, পুরো বিষয়টি খুব সন্দেহজনক।  


পরিবারের দাবি, ওই দম্পতির বড় ছেলে পাশের ঘরে ঘুমাচ্ছিল। অন্য ঘরে বাকি তিন জন ছিলেন। হঠাৎ, করে রাত ১২টা নাগাদ আগুন লেগে যায়। সেইসময় আতঙ্কে যখন তিনজন চিৎকার করছিলেন, ছুটে আসে বড় ছেলে। সে দেখে, ছোট ভাই খাটে পড়ে রয়েছে। আর বাবা-মা অগ্নিগদ্ধ অবস্থায় পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে পাড়ার লোকজনকে খবর দেয় বড় ছেলে। পাড়া পড়শিরা এসে তাঁদের উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।


বাড়ির বড় ছেলের অভিযোগ, তাঁর বাবা-মা হত্যা করা হয়েছে। যেহেতু গরম রয়েছে তাই ঘরের জানালা খোলা ছিল। সেই ফাঁকে কোনও ভাবে জানালা দিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সে ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে। পুলিশ কুকুর এনে তদন্তের কথা বলেছে।  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।