ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: ফের অবৈধভাবে গরুপাচারকাণ্ডের (Cattle Scam) পর্দাফাঁস করল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৩৭ টি গরু আটক করল বীরভূমের নলহাটি থানার পুলিশ (Police)।
রাতের অন্ধকারে ঝাড়খন্ড থেকে বীরভূমে ঢুকছিল তিন গাড়ি গরু
উল্লেখ্য, রাতের অন্ধকারে ঝাড়খন্ড থেকে বীরভূমে ঢুকছিল তিনটি গরু ভর্তি গাড়ি। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ঝাড়খন্ড সীমান্ত নলহাটি থানার নাচ পাহাড়ি গ্রামের কাছে শুক্রবার ভোর রাতে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি গরু ভর্তি গাড়ি আটক করে পুলিশ। যারা গরু নিয়ে যাচ্ছিল তাদের কাছে কোন বৈধ কাগজ না থাকায়, ৩৭টি গরু ও তিনটি গাড়ি আটক করে। গ্রেফতার করা হয় তিন জনকে। শুক্রবার তাঁদের রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলার কথা।
পুজোর মাসেও পাচারকাণ্ডের পর্দাফাঁস
প্রসঙ্গত, নদিয়া জেলাতেও একটি এমন ঘটনা ঘটে। কৃষ্ণগঞ্জের বিষ্ণুপুর বর্ডারে গরু পাচারের চেষ্টা করছিল ১৫-২০ জন দুষ্কৃতী। জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করলে, ধারাল অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে হামলা চালানো হয়। শূন্যে গুলি ছোড়েন বিএসএফ জওয়ানরা। তা সত্ত্বেও দুষ্কৃতীরা মারধর চালিয়ে যায়। পাশাপাশি পুজোর মাসেও পাচারকাণ্ডের পর্দাফাঁস ঘটে। পুরুলিয়ার হুড়া থেকে আটক করা হয় গরু, মোষ বোঝাই ২৩টি গাড়ি। উদ্ধার হয় প্রায় ১৫০ গবাদি পশু। এই ঘটনায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করে হুড়া থানার পুলিশ। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও তৃণমূল নেতা সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, পুলিশ ও বিজেপির আঁতাঁতে গরু পাচার চলছে। প্রশাসনকে জানানো সত্ত্বেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ শাসক-নেতার। গরু পাচার মামলার তদন্তে এই মুহূর্তে সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
আরও পড়ুন, 'পশ্চিমবঙ্গে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হচ্ছে', ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু
গরু পাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য
উল্লেখ্য, চলতি বছরের অগাস্ট মাসে, এবিপি আনন্দের অন্তর্তদন্তে গরু পাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসে। গরুর দালাল আব্দুল লতিফের গোপন ডেরার হদিশ মেলে। এবিপি আনন্দর অন্তর্তদন্তেই লতিফের গোপন ডেরার পর্দাফাঁস হয়। ইলামবাজারের পশু-হাটের পাশেই গরুপাচারের ‘কন্ট্রোল রুম’!। ‘পাচারের জন্য কেনা গরু রাখা হত লতিফের ডেরায়। পাঁচিল ঘেরা ১০ বিঘার ডেরা থেকেই পাচার হত গরু বোঝাই ট্রাক। আর সেখান থেকেই বাংলাদেশ সীমান্তে চলে যেত গরু বোঝাই ট্রাক।