পরিতোষ দাস, বীরভূম: এবার বস্তা বস্তা টাকা উদ্ধার নানুরে। উল্লেখ্য. রাজ্যের এসএসসি দুর্নীতির মামলার তদন্তে ইতিমধ্যেই পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ , সোনা, দলিল উদ্ধার হয়েছে। আর যা নিয়ে রীতিমত উত্তাল গোটা বাংলা। আর এহেন পরিস্থিতিতেই সিবিআই বা ইডি নয়, বস্তা বস্তা টাকা উদ্ধার করল নানুর থানার পুলিশ।


 পাঁচ বস্তা কয়েন টাকা উদ্ধার করল  বীরভূমে নানুর থানার পুলিশ 


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, পাঁচ বস্তা কয়েন টাকা উদ্ধার করল  বীরভূমে নানুর থানার পুলিশ। আজ মুর্শিদাবাদ থেকে  কলকাতাগামী একটি বাসে নিয়ে যাচ্ছিল এই এক  ও দুই টাকার কয়েন টাকা বস্তায় ভরে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নানুর থানার পুলিশ,বীরভূম ও বর্ধমান সীমানাবর্তী পালিতপুর এলাকা গাড়ী থামিয়ে উদ্ধার করা হয় এই টাকা গুলি। প্রসঙ্গত, একই ধরণের আরও একটি ঘটনা ঘটেছে এই জেলাতেই। নকল সোনার কয়েন বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ে দুজন। কলকাতার বাগনানের এক ব্যক্তিকে প্রায় দুলক্ষ টাকার বিনিময়ে নকল কয়েন বিক্রির মতলব ছিল ধৃত জহিরুল শেখ ও কাজল শেখের। কিন্তু সেই খবর গোপন সুত্রে জানতে পেরে যায় সাঁইথিয়া থানার পুলিশ । এরপরই ওই দুজনকে পিছু ধাওয়া করে গ্রেফতার করে পুলিশ।


জমির ভিত খুঁড়তে গিয়ে সোনার মোহর পাওয়ার গল্প এখনও মানুষ শোনে


আরও পড়ুন, পার্থ বাবুর মুখ খুলে দেওয়া উচিত, না হলে গোটা দেশ ওকে একা চোর ভাবছে: দিলীপ


পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছে থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২১০ টি নকল সোনার কয়েন, একটি মোবাইল ফোন, মোটর বাইক। এছাড়াও ১রাউন্ড কার্তুজ ও ১ টি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে ধৃতদের কাছে থেকে। বীরভূমে নকল সোনার কয়েন বিক্রি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সচেষ্ট রয়েছে। মাঝে মধ্যেই পুলিশের অভিযানে ধরাও পড়ে। উদ্ধার হয় নকল কয়েন। কিন্তু তারপরও লাগাম টানা যাচ্ছেনা কিছুতেই। প্রাচীনকাল থেকেই মূলত সোনার কয়েনের প্রতি আসক্তি অনেকের। জমির ভিত খুঁড়তে গিয়ে সোনার মোহর পাওয়ার গল্প তো মানুষ এখনও তাঁড়িয়ে উপভোগ করে। স্বাভাবিকভাবেই তা কিনতে ইচ্ছে করে সাধারণ মানুষের। আর কিনেও ফেলেন অনেক। আর এই সুযোগটাই নিয়ে ফেলে দুষ্কৃতিরা। কেনাটা অপরাধ নয়, তবে রসিদ ছাড়া বিপদজ্জনক সেটা। আর কম দামে অতি লাভ করতে গিয়েই ফাঁদে পড়েন বঙ্গবাসী। তাই প্রশাসনের তরফেও সতর্ক করা হয় বারবার।