কলকাতাঃ এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় তোলপাড় রাজ্য। মামলা অনেক দিন ধরেই চলছিল। সিবিআই তব করছিল। হাজিরাও দিচ্ছিলেন পার্থ-পরেশরা। কিন্তু অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ এবং নথি উদ্ধার পর, পার্থ-র (Partha Chatterjee) উপর বড়সড় আরোপ আসে। গ্রেফতারের পর থেকে রাজ্যে এই মুহূর্তে শুধুই ফোকাস পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিরোধীরা তো আগে থেকেই তোপ দেগেছিল, তবে দলীয় পদ, মন্ত্রী পদ হারানোর পর ক্যামেরার সামানে তাঁকে বিধ্বংস্ত অবস্থায় দেখল বাংলা। তবুও নিজের জায়গায় অনড়। মুখ যে খোলেননি তা নয়, বিস্ফোরিত চোখে বলেছেন,' আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।'তবে, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সিদ্ধান্ত ঠিক।' আর কিছুই বলেননি তিনি। এমনই আবহে পরামর্শ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছেন,'পার্থ বাবুর মুখ খুলে দেওয়া উচিত, না হলে গোটা দেশের মানুষ ওকে একা চোর ভাবছে।'
পার্থ বাবুর মুখ খুলে দেওয়া উচিত, না হলে গোটা দেশের মানুষ ওকে একা চোর ভাবছে: দিলীপ ঘোষ
দিলীপ ঘোষ টুইট করে বলেন, 'পার্থ বাবুর মুখ খুলে দেওয়া উচিত। বলে দেওয়া উচিত এই দুর্নীতির সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত। না হলে গোটা দেশের মানুষ ওকে একা চোর ভাবছে। সত্যিটা সবার জানা উচিত। একাই সারাজীবন চোর অপবাদ মাথায় নিয়ে ঘুরবেন কেন তিনি ? ' প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট ঘিরে উঠছে প্রশ্নের সমুদ্র। টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২২ কোটি নগদ উদ্ধার হয়েছে।টালিগঞ্জের পর বেলঘরিয়ায় এখনও পর্যন্ত সেখান থেকে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। অন্যান্য জায়গা থেকে আরও টাকা উদ্ধার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।জমি-বাড়ির দলিল ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেন ইডি-র আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে শিক্ষা দফতরের খাম। ইডি-র দাবি, পার্থ ও অর্পিতা, দু’জনের বাড়ি থেকেই যৌথ নামে বেশ কিছু নথি মিলেছে।
আরও পড়ুন, মমতার সিদ্ধান্ত ঠিক : পার্থ, কী প্রতিক্রিয়া রাহুলের ?
ওনাকে জানাতেই হবে, আর পালাতে পারবেন না: দিলীপ ঘোষ
এই ঘটনার পর দিলীপ ঘোষ বলেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘ দিন ধরেই সিবিআই-ইডি-র তদন্তের সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল, ছেড়ে দেওয়া হচ্ছিল। তবে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ইতিমধ্য়েই সবকিছু বলা শুরু করেছেন ইডি-র কাছে।এতদিন ধরে চলে আসা সেই তদন্তে শক্তপোক্ত প্রমাণের অভাবে তা ধীর গতিতে এগোচ্ছিল। কিন্তু বিপুল পরিমাণ টাকা এবং সোনা উদ্ধারের পর ওনাকে জানাতেই হবে, আর পালাতে পারবেন না, বলেই দাবি করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, আরও লোককে ডাকা হচ্ছে। তখন সামনা-সামনি বসবে, ওখানেই ঝগড়া হবে, সব বেরিয়ে আসবে। দেখা যাক, কত দূর যায়, আমার মনে হয়, শেষ পর্যন্ত যাওয়া উচিত।'