এরশাদ আলম,বীরভূম: ফের একবার নকল সোনার কয়েন (Fake Gold coins) বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়ল দুজন। কলকাতার বাগনানের এক ব্যক্তিকে প্রায় দুলক্ষ টাকার বিনিময়ে নকল কয়েন বিক্রির মতলব ছিল ধৃত জহিরুল শেখ ও কাজল শেখের। কিন্তু সেই খবর গোপন সুত্রে জানতে পেরে যায় সাঁইথিয়া থানার পুলিশ (Sainthia Police)। এরপরই ওই দুজনকে পিছু ধাওয়া করে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


বীরভূমে নকল সোনার কয়েন বিক্রিচক্র দীর্ঘদিন ধরে সচেষ্ট রয়েছে


পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছে থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২১০ টি নকল সোনার কয়েন, একটি মোবাইল ফোন, মোটর বাইক। এছাড়াও ১রাউন্ড কার্তুজ ও ১ টি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে ধৃতদের কাছে থেকে। বীরভূমে নকল সোনার কয়েন বিক্রি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সচেষ্ট রয়েছে। মাঝে মধ্যেই পুলিশের অভিযানে ধরাও পড়ে। উদ্ধার হয় নকল কয়েন। কিন্তু তারপরও লাগাম টানা যাচ্ছেনা কিছুতেই। প্রাচীনকাল থেকেই মূলত সোনার কয়েনের প্রতি আসক্তি অনেকের। জমির ভিত খুঁড়তে গিয়ে সোনার মোহর পাওয়ার গল্প তো মানুষ এখনও তাঁড়িয়ে উপভোগ করে। স্বাভাবিকভাবেই তা কিনতে ইচ্ছে করে সাধারণ মানুষের। আর কিনেও ফেলেন অনেক। আর এই সুযোগটাই নিয়ে ফেলে দুষ্কৃতিরা। কেনাটা অপরাধ নয়, তবে রসিদ ছাড়া বিপদজ্জনক সেটা। আর কম দামে অতি লাভ করতে গিয়েই ফাঁদে পড়েন বঙ্গবাসী। তাই প্রশাসনের তরফেও সতর্ক করা হয় বারবার।


রাস্তার মোড়ে মোড়ে পোস্টার হোর্ডিং লাগিয়ে মানুষকে সাবধান পুলিশের


মমতার সিদ্ধান্ত ঠিক : পার্থ, কী প্রতিক্রিয়া রাহুলের ?


প্রসঙ্গত গত মাসের ২৪ তারিখ এরকম ভাবেই নকল সোনার কয়েন বিক্রি করতে গিয়ে দুইজন দুষ্কৃতিকে গ্রেপ্তার করেছিল সাঁইথিয়া থানার পুলিশ। এরপর বিভিন্ন সময়ে এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে লিফলেট বিলি করে, কোনও সময় রাস্তার মোড়ে মোড়ে পোস্টার হোর্ডিং লাগিয়ে মানুষকে সাবধান করা হয়। তারপরেও এরকম ঘটনা ঘটেই চলেছে তবে পুলিশ প্রশাসন বিষয়টির ওপরে কড়া নজরদারি রেখেছে।