ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম: বীরভূমের সাঁইথিয়ার বড়সিজা গ্রামে বাড়ির ভিতরে বোমা বিস্ফোরণ ! অভিযোগ, বোমা মজুদ করে রাখা হয়ে ছিল বা বোমা বাঁধা হচ্ছিল সেই সময় বিস্ফোরণ হয়। অভিযোগ বিস্ফোরণের পর পুরো দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়, ঘটনা ধামাচাপা দিতে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে বোম বিস্ফোরণের বিষয়টি চাপা দিতেই কি দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে? বোমা মজুদ করে রাখা হয়েছিল নাকি বোমা বাঁধা হচ্ছিল, তদন্তে পুলিশ।

আরও পড়ুন, ৪৮ ঘণ্টা পার, এখনও খোঁজ মেলেনি হুগলির বাসিন্দার, BSF জওয়ানকে আটক করে কোথায় নিয়ে গেল পাকিস্তান ?

 গত কয়েকদিন ধরে ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে ছড়িয়ে অশান্তি রাজ্যের একাধিক জেলায়। আর এই ইস্যুর মাঝেই ঘটে যায় কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা। বেছে বেছে হিন্দুদের খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। ঠিক এমনই সময় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা প্রকাশ্যে এল বীরভূমে। রাজ্যে বিস্ফোরণের ঘটনা এনিয়ে কম নয়। কখনও বোমা উদ্ধার, কখনও উদ্ধার না হলে অতর্কিতে হাতে লেগে বিস্ফোরণ। কখনও ইচ্ছাকৃত হামলাক অভিযোগ লেগেই আছে। বলাই বাহুল্য দেশের এই পরিস্থিতির মাঝে স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুতে বাড়ল উদ্বেগ।

সম্প্রতি ফের বোমার আঘাতে রক্তাক্ত হয়েছিল শৈশব। আবারও বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল মালদা জেলায়। পরিত্যক্ত বাড়িতে খেলতে গিয়ে বোমার আঘাতে আহত হয়েছিল দুই শিশু ! আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিলামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছিল কালিয়াচক থানা এলাকার বীরনগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দিনুটোলা গ্রামে।ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল গোটা এলাকায়। ইতিমধ্যেই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছেছিল কালিয়াচক থানার পুলিশ। ‌ পুলিশ ওই এলাকাকে ফিতে দিয়ে ঘিরে ফেলেছে, পাশাপাশি বোম স্কোয়াডেও খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশের তরফে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিকেল তিনটে নাগাদ পাঁচ শিশু পরিত্যক্ত বাড়িতে খেলতে গিয়েছিল। সেখানেই একটি বল পায় ওই শিশুরা। ওই বলটি নিয়ে খেলতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। বলটিকে মাটিতে ছুঁড়তেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলে আহত হয় দুই শিশু , বাকিরা বিস্ফোরণের আওয়াজে অচৈতন্য হয়ে গিয়েছিল।  

অতীতে লালগোলা থানা এলাকাতেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। নসীপুর দিয়ার এলাকায়  পরিতক্ত বাড়িতে রাখা হয়েছিল বোমা। সেখানে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছিল ওই দুই ছাত্র- ছাত্রী। এই ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এলাকা জুড়ে। বছর দুয়েক আগে পূর্ব মেদিনীপুরেও ঘটেছিল মর্মান্তিক ঘটনা। খাদিকুলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ কেড়ে নিয়েছিল বারোটা প্রাণ। ঘটনার ১১ দিন পর খাদিকুল গ্রামে যান মুখ্য়মন্ত্রী।  প্রতিবারের মতো সেবারও প্রশাসনের তরফে নানা প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সেগুলোর বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা, তা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল কোলাঘাটের বিস্ফোরণ। কোলাঘাটের পয়াগ গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ফিরল এগরার খাদিকুলে বাজি বিস্ফোরণে ঝলসে ১১ জনের মৃত্য়ুর ভয়াবহ স্মৃতি।