ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম:  রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও মা-বাবা ( Parenting ) হওয়া যায়। আর তাতে হয়ত একটা সুন্দর ভবিষ্যৎও পেতে পারে কোনও অনাথ শিশু (Orphan Child ) । সম্প্রতি বীরভূম থেকে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন অনাথ শিশুপুত্রকে দত্তক নিলেন বিদেশি দম্পতি । পেশায় তাঁরা শিক্ষক। 


সরকারি নিয়ম মেনে এক অনাথ শিশু পেল মা-বাবাকে।  সোমবার বীরভূমের ( Birbhum Story )  সিউড়িতে জেলা শাসক কার্যালয়ে সন্তান দত্তক নেওয়ার ( orphan child adoption ) আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। 


জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দত্তক নেওয়া শিশুটির বয়স দেড় । যে দম্পতি তাকে দত্তক নিলেন, তাঁরা ফ্রান্সের মাদ্রিদ শহরের বাসিন্দা । ফান্সিসকো ডি বোরহা হার্নান্ডেজ ব্রেইজা  রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক। তাঁর স্ত্রী মার্তা গালান হেরাঞ্জ স্কুল শিক্ষিকা । 


সূত্রের খবর, বছর দেড়েক আগে ভারত সরকারের নিয়ম  অনুসারে,  ওই দম্পতি অনলাইনে সেন্টার অ্যাডপশেন রিসোর্স অথরিটিতে আবেদন করেন । সন্তান দত্তক নেওয়ার আবেদন জানান। সেই মতো বীরভূম জেলা প্রশাসন ভিডিও কনফারেন্স করে যোগাযোগ করে তাঁদের সঙ্গে। দত্তক নেওয়ার জন্য এখন অনেক খুঁটিনাটি নিয়ম ও শর্ত মেনে চলতে হয়। প্রশাসনও পরখ করে দেখে নেন আবেদনকারীর মানসিকতা থেকে ব্যাকগ্রাউন্ড , সেই সঙ্গে তাঁদের সন্তানপ্রতিপালনের পরিস্থিতি। তারপর কতকগুলি আইনি পর্যায়ে দত্তক নেওয়ার বিষয়টি সম্পন্ন হয়। 


ই-মাধ্যমে যোগাযোগ হওয়ার পর দিন কয়েক আগে ওই দম্পতি এ দেশে আসেন । প্রথমে কলকাতায় ও পরে বীরভূমের সিউড়িতে আসেন তাঁরা। তারপর জেলা শাসকের থেকে আইনি কাগজপত্রে সই-সাবুদ করে দত্তক নেওয়ার পদ্ধতিটি সম্পন্ন করেন। 


এখন দেড় বছরে ছোট্ট শিশুটি রয়েছে তার নতুন বাবা-মার কাছে।  সূত্রের খবর,  কয়েকদিন পর কলকাতায় থাকার পর তাঁরা চলে যাবেন স্পেনে। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি নিঃসন্তান । ওই নিঃসন্তান দম্পতি গত ছয় বছর ধরে সন্তান দত্তক নেওয়ার কথা ভাবছিলেন। এত দিনে তা সম্পন্ন হল।


এনআরআই প্রস্পেক্টিভ অ্যাডপ্টিভ পেরেন্টস প্রকল্পের আওয়ায় অ্যাডপশন রেগুলেশন, ২০২২ অনুসারে সন্তান দত্তক নিলেন তাঁরা। দত্তক নেওয়া ছেলের নাম রাখ হয়েছে শরৎ গালান হার্নান্ডেজ। দম্পতির দাবি, অনেক দিনের ইচ্ছা মেটায় অত্যন্ত খুশি তাঁরা। 


আরও পড়ুন : 


চোখের নিমেষে লক্ষ লক্ষ টাকার গয়না সাফ ! আবার হাড়হিম করা ডাকাতি