করুণাময় সিংহ, মালদা : চাঁচলের পর হবিবপুর ( Habibpur )। ফের মালদায় সোনার দোকানে ডাকাতির (Gold Shop Dacoity ) ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল। অভিযোগ, সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী বাজারে অরুণা মার্কেটে হানা দেয় ৬-৭ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল। তারপর যা ঘটে, তা হাড়হিম করা।


বাজারের এক বস্ত্র ব্যবসায়ী সেই সময় তাঁর দোকানে ছিলেন। অভিযোগ, তাঁর মুখ-হাত বেঁধে রাখা হয়। এরপর তাঁকে খুনের হুমকি ( Death Threat )  দেওয়া হয়।  এরপর সোনার দোকানের শাটারের তালা ভেঙে ফেলা হয়। ভিতরে ঢুকে লুঠপাট চালায় ডাকাতরা। আতঙ্ক ছড়াতে ডাকাতদল বোমা ছুড়তে ছুড়তে পালায় বলে অভিযোগ।


স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দাবি, কয়েক লক্ষ টাকার সোনা-রুপো খোয়া গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের সন্ধান চালাচ্ছে হবিবপুর থানার পুলিশ। চাঁচল, কালিয়াচক ও হবিবপুর, দেড়মাসের মধ্যে মালদায় তিনটি ডাকাতির ঘটনা ঘটল। এই প্রতিটি ডাকাতির পিছনে কি একই ডাকাত দল ? সন্ধান করছে পুলিশ।


গত ২৫ ডিসেম্বর, ভর সন্ধেয় চাঁচলে সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। চাঁচলের ঢাকা জুয়েলার্সে প্রথমে ক্রেতা সেজে ঢোকে তিনজন দুষ্কৃতী। 
তাঁদের মধ্যে ১ জনের মাথায় ছিল হেলমেট। সাধারণ হুডিস ও টুপি পরে ঢোকে বাকি ২ জন। ঢুকেই, কর্মীদের গানপয়েন্টে রেখে শুরু হয়ে যায় লুঠপাট। কয়েক সেকেন্ড পর সেখানে ঢোকে হেলমেট পরা আরেক দুষ্কৃতী। বন্দুক হাতে তাণ্ডব শুরু করে সেও। শোকেস তছনছ করে বের করে নেওয়া হয় সব গয়না।  ওই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।  মালদার চাঁচলে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনায় সামনে এসেছিল বিহার যোগ। 


তবে মালদায় ( Malda ) একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। চাঁচলে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির রেশ কাটার আগেই জানুয়ারিতে কালিয়াচকে বেসরকারি আবাসিক স্কুলের কর্ণধার মহম্মদ উজির হোসেনের বাড়িতে হানা দেয় ডাকাতরা। জানলার গ্রিল কেটে ভিতরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের বেঁধে রেখে, প্রায় একঘণ্টা ধরে চলে লুঠপাট। অভিযোগ, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে, ১০ ভরি সোনা ও নগদ দেড়লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ৭ জনের ডাকাতদল। সেবার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিল, দুষ্কৃতীদের মুখ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। তারা কথা বলছিল হিন্দিতে । 


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২৩ এ একের পর এক ডাকাতির ঘটনা ঘটে । 


২১ অক্টোবর: নদিয়ার কল্যাণীতে সোনার দোকানে গান পয়েন্টে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। 
১৭ অক্টোবর: আমডাঙার দারিয়াপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। 
২৯ সেপ্টেম্বর: খড়গপুরে সোনার দোকানে ডাকাতিতে বাধা পেয়ে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
৬ সেপ্টেম্বর: উলুবেড়িয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে গয়না-টাকা লুঠ করা হয়। 
২৯ অগাস্ট: পুরুলিয়ার সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
২৯ অগাস্ট: একই দিনে রানাঘাটে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসেও হানা দেয় ডাকাতদল।
২৫ অগাস্ট: শক্তিগড়ের গাংপুরে সোনার দোকানের মালিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। 
২৭ জুন: মালদার চাঁচলে সোনার দোকানে ডাকাতি, খুন হতে হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। 
২৪ মে: ব্যারাকপুরের আনন্দপুুরীতে সোনার দোকানের মালিকের ছেলেকে গুলি করে খুন করে ডাকাতরা। 


আরও পড়ুন :                


স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা, মাঝ মাঘেই পাততাড়ি গোটাল শীত? আর ফিরবে না?