নান্টু পাল, বীরভূম: বিদ্যালয়ে শিক্ষক (Teacher) মাত্র দু’জন। তাই ছাত্রীদের পড়াতে এগিয়ে এসেছেন গ্রামের বাসিন্দারাই। তাঁরা বেতনও নেন না। এক দশক সময় ধরে স্বেচ্ছায় গ্রামের ১০ জন বাসিন্দা পড়ুয়াদের পড়িয়ে চলেছেন বীরভূমের রামপুরহাটের চাঁদপাড়া এলাকার উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে (Birbhum Rampurhat Chandpara Girls High School)।


আরও পড়ুন,পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ককে মানসিকভাবে নিগ্রহের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল


স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ২০১২ সালের ২ জানুয়ারি পথ চলা শুরু করে চাঁদপাড়া উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়। তখন থেকেই স্কুলে রয়েছে মাত্র দু’জন শিক্ষিকা। বর্তমানে এক শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। প্রথমে এই স্কুলে অষ্টম শ্রেণি অবধি পড়াশোনা চলত। ২০১৬ সাল থেকে এই স্কুল মাধ্যমিক স্তরে উত্তীর্ণ হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্রী সংখ্যা এখন ৩০০। শিক্ষক না থাকায় গ্রামের ১০ জন এগিয়ে এসেছেন এই বিদ্যালয়কে বাঁচাতে। ১০ বছর ধরে তাঁরা বিনা পারিশ্রমিকেই পড়িয়ে যাচ্ছেন।


স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা পূর্নিমা সরকার বলেন,'আমাদের এই স্কুল টি প্রায় ১০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়।২০১৬ সালে মাধ্যমিক স্তরে হয়।২০১২ সাল থেকে দুই জন শিক্ষিকা। আমি আর আরেক আছি। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় স্কুলটি চালাচ্ছি।গ্রামবাসীরা না থাকলে স্কুলে এত দিন তালা পরে  যেত।বিনা গ্রামবাসীর সহযোগিতায় আমরা স্কুল টি চালাচ্ছি।এলাকার একমাত্র গার্লস স্কুল। শিক্ষিকার অভাবে স্কুলটি বন্ধ হতে চলেছে। প্রতি নিয়ত ছাত্রীর সংখ্যা কমেছে।এই সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। কর্তৃপক্ষ জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।'


গ্রামবাসী অশোক ভট্রাচার্য বলেন, 'এলাকার মেয়েরা  পঠন পাঠান ও তারা যেন শিক্ষা গ্রহন করতে পারে সেই জন্য আমাদের এই উদ্যেগ।আমারা স্কুল ভালোবেসে ফেলেছি এর জন্য আমরা স্কুল টা ছেড়ে যেতে পারছি না এরজন্য স্বেচ্ছাশ্রম দিই।২০১২ সাল থেকে এই ভাবে স্কুলে পরিয়ে আসছি।আমরা চাইছি মেয়েদের পঠন পাঠনের জন্য শিক্ষিকার প্রয়োজন আছে। শিক্ষিকা এলে আমাদের খুব ভালো হবে।'অভিভাবক প্রভাষ সরকার বলেন,'আমাদের স্কুলে শিক্ষিকা এলে  নিয়োগ হলে ভালো হয়জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক, চন্দ্র শেখর জাওলিয়া, বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে।  অন্য স্কুল থেকে এই স্কুলে শিক্ষক আনার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।' গ্রামবাসীদের সাধু বাদ জানান তিনি।