গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: ধূমপানের প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত পুলিশ কর্মী (Police Personnel)। এমন ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নানুরে। চলন্ত বাসে ধূমপানের প্রতিবাদ করায়, বীরভূমের নানুরে আক্রান্ত হলেন এক এনভিএফ (NVF) কর্মী। রবিবার সদাইপুর থানা থেকে ডিউটি করে নানুরের বাড়িতে ফিরছিলেন এনভিএফ কর্মী মহম্মদ শাহজাহান। 


তিনি অভিযোগ করেছেন, চলন্ত বাসে কয়েকজন যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ধূমপান করছিলেন। প্রতিবাদ করায়, চার যুবক এনভিএফ কর্মীর ওপর চড়াও হয়ে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ।আক্রান্ত পুলিশ কর্মী নানুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। এরপর আজ তিনি চার যুবকের বিরুদ্ধে নানুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।  নানুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন এনভিএফ কর্মী। অভিযুক্তরা অধরা। 


জানা গিয়েছে, বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক আত্মীয়কে রবিবার দেখতে গিয়েছিলেন শাহজাহান। সেখান থেকে বোলপুর-কাটোয়া রুটের বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি ৷ অভিযোগ, ওই বাসের মধ্যে চার মদ্যপ যুবক ধূমপান করছিলেন।  তা দেখে ধূমপানে বাধা দিতে যান শাজাহান ৷ এরপরেই ওই চার যুবক তাঁর উপর চড়াও হয়ে চলন্ত বাসের মধ্যেই বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ওই পুলিশ কর্মীর। তিনি বলেন, "আমি নিজের পরিচয় দিই ৷ বাস থেকেই নানুর থানায় ফোন করি ৷ তখনই আমাকে আরও বেশি মারতে শুরু করে৷"


এদিকে কলকাতায় মিনিয়াপোলিসকাণ্ডের ছায়া। ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবককে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর। বুট দিয়ে বুকে-পেটে লাথি। এক্সাইড মোড়ের কাছে রবিবার সন্ধের এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় আলোড়ন পড়ে গেছে পুলিশ প্রশাসনে।  সমাজ মাধ্যমে সরব নেট-নাগরিকরা।  চলন্ত বাসে এক মহিলা যাত্রীর ব্যাগ ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করেন এক যুবক।  রাস্তায় যুবককে ধরে ফেলেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। তারপরই যুবককে মাটিতে ফেলে বুট দিয়ে লাথি মারা শুরু হয়। 



এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়ে যায় তোলপাড়।  প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে সিভিক ভলান্টিয়ারের এই আচরণ।  পরে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার তন্ময় বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করা হয়।