বীরভূম: মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদনের পরেই রামপুরহাট (Rampurhat Violence) হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হল। সাঁইথিয়ার  বাতাসপুরে আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনহারা মিহিলাল শেখ-সহ বেশ কয়েকজন। তাঁদের বাড়ির সামনে আজ সকাল থেকে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। এদিকে রামপুরহাটকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও ১ জনকে। গ্রেফতার হয়েছে ভাদু শেখের আত্মীয় রাজেশ শেখ। ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যোগসাজশের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজেশ শেখকে। গতকাল রাতে রাজেশ শেখকে গ্রেফতার করে বীরভূম জেলা পুলিশ। 


আজ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে (Botkui Gram) যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দল। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে তারা। অন্যদিকে, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল (TMC) ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে আজ রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তারাপীঠ থানায় রাখা হয়েছে আনারুল হোসেনকে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য গতকাল গ্রামে ফিরেছিলেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। ফের তাঁরা গ্রাম ছেড়েছেন। যদিও গ্রামে পুলিশ পিকেট রয়েছে। 


গতকাল রামপুরহাটের (Rampurhat Case Update) বগটুইয়ের ঘটনায়  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন নিহতদের পরিজনদের নিরাপত্তা দিতে হবে। তিনি বলেন, 'পিকেটিং রাখতে হবে। সকালে পুলিশ পিকেটিং থাকবে আর দুপুরে চলে যাবে এটা হবে না। পুলিশের পিকেট জোরদার করতে হবে।' গ্রামে যাঁরা থাকবে তাঁদের যেন নিরাপত্তা ঘাটতি না হয়, সেদিকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। পাশাপাশি পুলিশি ঘেরাটোপে গ্রামবাসীদের ফেরানোর নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশি নিরাপত্তায় বাড়িতে ফেরানো হবে ক্ষতিগ্রস্থদের। "কারও যেন বাড়িতে থাকতে অসুবিধা না হয়,'' ডিজিপিকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। 


আরও পড়ুন: Birbhum: বীরভূম থেকে উদ্ধার ৬০টি তাজা বোমা, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই তৎপর পুলিশ


সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা: রামপুরহাট হত্যাকাণ্ড নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন হিন্দু সেনার সর্বভারতীয় সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত। মামলাকারীর আবেদন, সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে সিট গঠন করে তদন্ত করা হোক। অথবা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে এই তদন্তভার দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মামলাকারী। অন্যদিকে, রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আজ রায়দান।