ভাস্কর মুখোপাধ্যায়,বীরভূম: নলহাটিতে বেআইনি খাদানের বলি ৬, গ্রেফতার করা হল এবার খাদান মালিককে। গ্রেফতার বেআইনি পাথর খাদান মালিক ভুলু ঘোষ।কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে বেআইনি খাদানের রমরমা? নলহাটির পাথর খাদানে ৬ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের অভিযোগের ভিত্তিতে FIR রুজু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন, SSC-র পরীক্ষা দিলেন রাজন্যা হালদার, 'স্বচ্ছ নিয়োগের ভাবনা, যদি আবারও ভাবতে হয়, সেটা লজ্জার...'

অবশেষে গ্রেফতার বীরভূমের বেআইনি পাথর খাদানের মালিক। শুক্রবার নলহাটির খাদানে কাজ চলাকালীন ওপর থেকে পাথর পড়ে মৃত্যু হয় ৬ শ্রমিকের। ঘটনার পরই সপরিবারে গা ঢাকা দেন অভিযুক্ত খাদান মালিক। পলাতক অভিযুক্তের মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে শনিবার রাতে নলহাটিরই একটি জায়গা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় ২০০ ফুট উপর থেকে ধস নামায়, শুক্রবার থেঁতলে বীভৎসভাবে মৃত্যু হয় খাদানে কাজ করা ৬ শ্রমিকের। জেসিবি দিয়ে পাথর সরিয়ে উদ্ধার করতে হয় কার্যত চিঁড়েচ্যাপ্টা দেহগুলি!মর্মান্তিক পরিণতির প্রায় ৪৮ ঘণ্টার মাথায় গ্রেফতার করা হল বীরভূমের সেই 'মারণ-খাদানের' মালিক ভুলু ঘোষকে।

সূত্রের খবর, নিজের পাথর খাদানে ভয়ঙ্কর ওই দুর্ঘটনার পর থেকেই সপরিবারে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান খাদান মালিক। শনিবার রাতে তাঁর মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে, বাহাদুরপুরের বাড়ি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে একটি জায়গা থেকে খাদান মালিককে গ্রেফতার করে নলহাটি থানা।বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, পাথর খাদানে একটা ঘটনা ঘটেছে যেখানে ৬ জন মারা গেছে, ৪ জন আহত হয়েছে। যে খাদান ছিল সেটা বেআইনিভাবে চলছিল। মূল অভিযুক্ত ভুলু ঘোষকে গ্রেফতার করেছি। নলহাটি থেকেই ওকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওকে হেফাজতে নিয়েছি। কার মদতে কাজ করছিল? এর মধ্যে যদি আরও কেউ জড়িত থাকে তাঁদের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।'

শুক্রবার বীরভূমের নলহাটির পাথর খাদানে হুড়মুড় করে নামে ধস। কাজ চলাকালীন ওপর থেকে পাথর মাথায় পড়ে মৃত্যু হয় কারও!কারও দুই পা-সহ শরীরের বেশিরভাগ অংশ থেঁতলে যায়! ৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর, ওই পাথর খাদান নিয়ে মুখ খোলে স্থানীয়দের একাংশ। আহত শ্রমিকের দাদা স্বপন মাল বলেন, অবৈধ খাদান। যত পাহাড়ের ৯৯ শতাংশ অবৈধ খাদান। ২০০ ফুট উঁচু থেকে আজকে এই পাথরে ধস নেমে মারা গেছে। পরপর দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন কোনও নজর দিচ্ছে না। এরপরেই খাদান মালিক ভুলু ঘোষের বিরুদ্ধে নলহাটি থানায় দায়ের হয় FIR।ধৃত খাদান মালিকের আত্মীয়  সেন্টু ঘোষ বলেন, 'দু'তিন বছর ধরে ব্যবসা করছে, তার আগে চাষবাস করত। আস্তে আস্তে গাড়ি কিনে মাইনসে (পাথর খাদানের ব্যবসা) ঢোকে। বৈধ (খাদান) কি অবৈধ বলতে পারব না।'