গোপাল চট্টোপাধ্যায়, রামপুরহাট: বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক কিশোরের । ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছে আরও দুই কিশোর। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাট (Rampurhat) পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মরাজতলা পাড়ায়। মৃত কিশোরের নাম চয়ন দাস।


স্থানীয় সূত্রে খবর, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধর্মরাজতলা পাড়ায় বহুতল নির্মাণ করার জন্য একটি কংক্রিটের বাড়ি ভেঙে কাজ চলছিল। গতকাল, মঙ্গলবার সন্ধেয় চয়ন তার বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় খেলা করছিল। সেসময় পুরনো বাড়ির দেওয়াল তাদের উপর পড়ে যায় । প্রতিবেশীরা আহত কিশোরদের উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা চয়ন দাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় আহত দুই কিশোরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: East Midnapore: শুভেন্দু-গড়ে গেরুয়া শিবিরে ভাঙন, তৃণমূলে যোগ শতাধিক বিজেপি কর্মীর


এদিকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল অসমের বাসিন্দা এক  যুবকের। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন অসমের ৬ যুবক। কাজের তাগিদেই ভিনরাজ্যে পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় যুবকের। মৃতের নাম অঙ্কুরজ্যোতি গগৈ। বয়স আনুমানিক ২১ বছর। মৃত্যুর কারণ ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ধূপগুড়ি রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকার ঘটনা।


অসমের লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা ছয় যুবক গত বছর লকডাউনে বাড়ি ফেরেন। এরপর বাড়িতে ফিরে সেরকম কাজকর্ম না থাকায় করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই ফের ভিনরাজ্যে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো ডাউন গুয়াহাটি ব্যাঙ্গালোর এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন তাঁরা। মাঝে ট্রেনের প্যান্ট্রিকারে থাকা যুবকদের সাথে বচসা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ধূপগুড়ি রেলস্টেশন পার হতেই ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয় অঙ্কুরজ্যোতির। তাঁর সঙ্গে থাকা বন্ধুরা ট্রেনের চেন টানলে তা দাঁড়িয়ে পড়ে। দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আরপিএফ ও রেলের আধিকারিকরা। এদিকে মৃতের সঙ্গে থাকা যুবকদের অভিযোগ, হয়ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে অঙ্কুরকে। যে কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রেলপুলিশ।


আরও পড়ুন: Cooch Behar: পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ দিনহাটায়