সন্দীপ সরকার, বীরভূম: রামপুরহাট কাণ্ডে জোর তরজা রাজ্য-রাজনীতিতে। বুধবার সেই এলাকায় পৌঁছলেন সিপিএম এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন বাম সাংসদ রামচন্দ্র ডোম। তাঁদের এই এলাকায় পৌঁছতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরেও ওই এলাকায় পৌঁছন বামনেতারা।


কী অভিযোগ বামেদের?
রামপুরহাটকাণ্ডের প্রবল সমালোচনা করেন মহম্মদ সেলিম (md selim)। তোলাবাজি-বখরার কারণেই এই ঘটনা বলে দাবি তাঁর। গোটা ঘটনায় তৃণমূল থেকে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন সবকিছুই জড়িত রয়েছে বলে দাবি তাঁর। সিপিএমের (cpm) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'ঘটনার সময় পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল বাইরে, তাঁরা তদন্ত করবে? কাক কাকের মাংস খায়? এই রাজ্যে পুলিশও খুন হয়েছে। অপরাধীকে ধরা হয়নি।' তাঁর আরও অভিযোগ, 'তদন্তের আগেই শর্টসার্কিটের কথা বলে। কেন আগে বলল রাজনীতির গন্ধ নেই। তাহলে তোলাবাজির টাকা, বখরার ভাগ পেত পুলিশ।' তৃণমূলের স্থানীয় নেতা, বিধায়কের সমর্থনে বেড়েছে তোলাবাজি, লুট। তার জন্য়ই এত হিংসা চলছে বলে অভিযোগ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের।


এদিন ওই এলাকায় যায় বিজেপির (bjp) প্রতিনিধি দলও। সেই দলে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক টিম আসার আগে রাজ্য ফরেন্সিকের টিমকে দিয়ে তথ্য লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে। রামপুরহাটে গিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।


প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও 
রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে এদিন মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রীও (prime minister)। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে একটি গ্যালারির ভার্চুয়াল উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আশা করি বাংলার সরকার দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে। বীরভূমে জঘন্য পাপ হয়েছে, দোষীদের যেন ক্ষমা না করা হয়। অপরাধীদের সাহস যারা বাড়িয়েছে, তাদের যেন ক্ষমা না করা হয়। যারা এই হত্যালীলা ঘটিয়েছে, তাদের যেন বাংলার মানুষ ক্ষমা না করে। অপরাধীদের দ্রুত সাজা দেওয়ার জন্য রাজ্যকে সাহায্য করবে কেন্দ্র।’


আরও পড়ুন: ''আমরা গ্রামে শান্তি চাই, দোষীদের শাস্তি চাই'', বগটুইয়ে মিছিল গ্রামবাসীদের