এরশাদ আলম, নান্টু পাল, সিউড়ি: করোনার সংক্রমণ-শৃঙ্খল ভাঙতে দোকান-বাজার খোলা রাখার সময়ে নিয়ন্ত্রণ। করোনার তৃতীয় ঢেউ যখন তুঙ্গে তখন থেকে চলে আসছে পুরসভা ও প্রশাসনের এই কড়াকড়ি। বীরভূম জেলায় করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও, দৈনিক আক্রান্তের হার এখনও উদ্বেগজনক। তাই দোকান-বাজার খোলা রাখার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমার গণ্ডি এখনই মুছে দিতে চাইছে না জেলার একাধিক পুরসভা।
এতদিন সিউড়ি, দুবরাজপুর ও সাঁইথিয়া পুরসভা এলাকায় দোকান-বাজার খোলা রাখার সময়সীমা ছিল সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত। এই তিন পুরসভা এলাকায় মিষ্টির দোকানকে আরও একঘণ্টা বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছিল। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার থেকে এই তিন পুরসভা এলাকায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে সব দোকান। সাঁইথিয়া ও দুবরাজপুরে বাজারে এই বিধিনিষেধ চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। সিউড়িতে এই বিধিনিষেধ বজায় থাকবে অনির্দিষ্টকালের জন্য।
বীরভূম জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধুমাত্র সিউড়ি ও বোলপুর মহকুমাতেই ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪১ জন। এই প্রেক্ষিতে রামপুরহাট পুরসভা এলাকায় দোকান-বাজার খোলা রাখার সময়সীমা এক ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে দোকানবাজার। মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে রাত ৮টা পর্যন্ত। ওষুধ ও জরুরি পরিষেবার দোকানগুলিকে এই বিধিনিষেধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
এদিকে, রাজ্যে করোনা সংক্রমণে খানিক হলেও স্বস্তি। শনিবারের তুলনায় রবিবার বেশ খানিকটাই কমল দৈনিক সংক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৮০ জন। শনিবার এই সংখ্যাটি ছিল ৯ হাজার ১৯১। ২৩ জানুয়ারির বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৪৫।
তবে করোনায় মৃতের সংখ্যা রয়ে গেল প্রায় একই। রাজ্যে টানা ৯ দিন তিরিশের উপরেই রইল করোনায় মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। গতকাল এই সংখ্যাটি ছিল ৩৭। রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ৩৩৮।