বীরভূম: বিনা লড়াইয়ে সাঁইথিয়া পুরসভা গেল তৃণমূলের দখলে। সেখানের ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টি ওয়ার্ডে নেই কোনও বিরোধী প্রার্থী। সাঁইথিয়ার ৩টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছিল শুধু বামেরা। সাঁইথিয়া পুরসভার কোনও ওয়ার্ডেই নেই বিজেপি প্রার্থী। ১০৮টি পুরসভার ভোটে আজই মনোনয়নের শেষ দিন। 


২৭ তারিখের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার আজকেই শেষ দিন। সাঁইথিয়াতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় তৃণমূল জয়লাভ করেছে। শুরু হয় তাঁদের কর্মী সমর্থকদের জয়োল্লাস। এই ব্যাপারে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বলা হয়, 'এই ফলের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমি দেব আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলকে। কারণ ওঁদের হাতে যে উন্নয়ন হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতেই অন্যান্য দলের লোক ভেবেইছিল ছিল যে এদের উন্নয়নের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়া অন্যায়। তাই তারা প্রার্থীও দেয়নি। আমাদের ১৬টা ওয়ার্ডের ৩টেয় সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে। সেগুলি ১, ৪, ১২। বাকি আর কোথাও কেউ প্রার্থী দেয়নি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আমরা জয়লাভ করলাম।'


অন্যদিকে প্রায় একই অবস্থা বজবজেও। একাধিক ওয়ার্ডে বিরোধীরা প্রার্থী না দেওয়ায় বিজয়োল্লাস করতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের।


আরও পড়ুন: East Burdwan News: টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়ে মেমারি পুরভোটে প্রার্থী তৃণমূলের দু’বারের কাউন্সিলর


অন্যদিকে, মনোনয়ন জমা দিতে আসা বিজেপি প্রার্থীদের দলেরই নেতার দোকানঘরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বোলপুর পুরসভার ঘটনা। এদিন বিজেপি প্রার্থীরা মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে যান। অভিযোগ, সেইসময় মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে স্থানীয় বিজেপি নেতা কাঞ্চন ঘোষের দোকানঘরে বিজেপি প্রার্থীদের আটকে রাখেন তৃণমূল কর্মীরা। ফেসবুকে লাইভে অভিযোগ জানান ওই বিজেপি নেতা। এরপরই পুলিশ সেখানে হাজির হয়। সবটাই বিজেপির নাটক, অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। কয়েক ঘণ্টা পর স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব গিয়ে দোকানে শাটার খুলে বিজেপি প্রার্থীকে বের করেন। যদিও পুলিশের দাবি, নিজেই ভিতর থেকে দোকানঘর আটকে রেখেছেন বিজেপি নেতা।