গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম:  বীরভূমের সিউড়ি থানার অন্তর্গত সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের কেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খোশনাতোড় জামল গ্রামে থাকা একটি লোকনাথ মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটল। দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে তালা ভেঙে এই মন্দিরের সমস্ত পূজোর সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায়। চুরির এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সিউড়ি থানার পুলিশ। তারা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছেন, এর আগে কোনওদিন এমন চুরির ঘটনা ঘটেনি। এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল।


এদিন কাঁকড়তলা থানার পেঁচালিয়া গ্রামে এক গৃহস্থের বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রায় সাত ফুট লম্বা পাইথন সাপ। কাল সন্ধ্যাবেলায় ওই গৃহস্থের বাড়ির শৌচালয়ে সাপটি দেখতে পায় বাড়ির লোক। এরপর থেকেই শৌচালয় আটকে রাখা হয় সাপটিকে আজ কাঁকড়তলা থানার পুলিশ ও বন দফতরের সহযোগিতায় সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বনদপ্তর এর কর্মীরা। 


কিছুদিন আগেই বীরভূমের সদাইপুর থানার অন্তর্গত যাত্রা গ্রামে উদ্ধার হয়েছিল একটি অজগর সাপ। একদিন রাতে একটি বিশাল  অজগর সাপ দেখতে পান গ্রামবাসীরা।  এরপর সাপটি গ্রামে ঢুকলে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় জাতীয় বন্যজীবঅপরাধ নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর সদস্য দীনবন্ধু বিশ্বাসকে। খবর পেয়ে  তিনি বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে বন দফতরের আধিকারিকদের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে সাপটি উদ্ধার করেন তিনি। অজগর সাপটি লম্বায় আট ফুট বলে জানা গিয়েছে। বন দফতরের সহযোগিতায় ওই অজগর সাপটির পুনর্বাসনের বন্দোবস্ত করা হয়।


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে বাঁকুড়ায় বাঁকাদহ রেঞ্জের কুলুপুকুরের জঙ্গলে একটি নীল গাই উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। কুলুপুরের কাছে চোরকুন্দার এলাকায় স্থানীয়রা জঙ্গলে পাতা কুড়োতে গিয়ে একটি জংলী গাই দেখতে পান। শিং বিহীন ওই গাই দেশি গাভীর মতো দেখতে হলেও ঘাড়ে ঘোড়ার মতো কেশর রয়েছে। স্থানীয়রা প্রথমে সেটি ঘোড়া বলে মনে করেন। পরে খবর পেয়ে বনকর্মীরা তাড়া করে গাইটি ধরেন। সেটি জয়পুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতায় চিড়িয়াখানায় রাখার জন্য পাঠানো হয়েছিল।