গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম : মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে মহাষ্টমীর পুজো।   রীতি মেনে, শাস্ত্র মতে বেলুড়মঠ, বাগবাজার, শোভাবাজারে চলছে দেবীর আরাধনা। বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে কুমারী পুজোও ৷ দিকে দিকে দীপের আলোয় হবে আজ উমা বরণ।  আর দু’দিন বাকি পুজোর। সব দেবী মন্দিরে আরাধনা চললেও তারাপীঠ মন্দিরে বাড়তি কোনও জাঁকজমক নেই। 


তারাপীঠ মন্দিরের পূজারীদের বিশ্বাস,  সব দেবীর উর্ধ্বে  মা-তারা। তারাপীঠে কোনও দেবীর মূর্তি করে পুজো হয় না। তাই মা-তারাকে দুর্গা রূপে পূজো করা হয়।  অষ্টমীর  দিন মন্দিরে মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। পাঁচ রকম ফুল, ফল,পাচ রকম মিষ্টি, ২০ কিলো ঘি, এক কুইন্টাল বেল কাঠ, বেলপাতা যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। মন্দিরে সমস্ত সেবাইতরা এই মহা যজ্ঞে অংশ গ্রহণ করে।


রাতে সন্ধি পুজোর আয়োজন হচ্ছে। মহাষ্টমী ও মহানবমীর মিলন মুহূর্তে সন্ধিপুজো ৷ রীতি মেনে সন্ধিপুজো হয়। এই পুজোয় দেবীকে দেখানো হয় চামুণ্ডা রূপে।  প্রতিমার উদ্দেশে অর্পণ করা হয় ১০৮টি পদ্ম ও ১০৮টি দীপ৷ সন্ধিপুজোয় ৫ টি ছাগ বলি করা হয়। তার সাথে চাল কুমরো বলি দেওয়া হয়। মন্দির কমিটি সস্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, মা-তারা দেবী দুর্গা রূপে বিরাজ করেন। এখানে কোনও দেবী মূর্তি পুজো হয় না। মা তারাকেই দুর্গা রূপে আরাধনা করা হয়। ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মা তারা সব দেবীর ঊর্ধ্বে। তাই এখানে মা তারাকেই সামনে রেখেই দেবী দুর্গার পুজো হয়। বছরে এই একদিন নাটমন্দিরে মহাযজ্ঞ হয়। এ দিন অষ্টমীর বিশেষ ভোগ অর্থাৎ লুচি, সুজি, বিভিন্ন ফল, মিষ্টি নিবেদন করা হয়। 


জ মহাষ্টমী। মণ্ডপে মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলী, মাইকে স্তোত্রপাঠ৷ সাড়ম্বর দেবী বন্দনা।  আজই বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে কুমারী পুজোও৷ দিকে দিকে দীপের আলোয় উমা বরণ।  আর দু’দিন বাকি পুজোর। মন খারাপ করা নবমীর আগে উত্‍‍সবের সুরে ভাসতে প্রস্তুত বাংলা।